গাছশীতলা মোড়ে ডিউটি করছিলেন দিলীপ সামন্ত। ঠিক সেই সময় চন্দ্রকোনা রোডের দিক থেকে আসা এক বাইক আরোহী মোড় ঘুরে মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই তার গলা থেকে খুলে পড়ে যায় একটি সোনার চেন। দ্রুতগতির মধ্যে এমন ঘটনা ঘটার ফলে বাইক চালক তা বুঝতে পারেননি। কিন্তু ডিউটিরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারের চোখে পড়ে ঘটনাটি। এক মুহূর্ত দেরি না করে দিলীপ সামন্ত বাইক আরোহীকে থামান। তারপর রাস্তার উপর পড়ে থাকা সেই সোনার হারটি তুলে নেন এবং নিজের হাতে সেটি ফেরত দিয়ে বাইক চালকের গলায় পরিয়ে দেন।
advertisement
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ জানান, আজকের দিনে যেখানে মানুষের মধ্যে সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেখানে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিজের কর্তব্যের পাশাপাশি সততার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাদের মতে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে নানা সময়ে সমালোচনা শোনা গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের দিলীপ সামন্ত প্রমাণ করলেন— সততা ও মানবিকতাই প্রকৃত দায়িত্ববোধের পরিচয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়রা জানান, চন্দ্রকোনার মতো ব্যস্ত এলাকায় সব সময় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চোখ-কান খোলা রাখতে হয়। দিলীপ সামন্ত শুধু একজন দায়িত্ববান কর্মী হিসেবেই নয়, একজন সৎ মানুষ হিসেবেও নিজের পরিচয় রাখলেন। তার এই কাজ সমাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে বলে মনে করছেন সকলে।
একজন সাধারণ সিভিক ভলেন্টিয়ারের ডিউটিরত অবস্থায় প্রদর্শিত সততা আজ স্থানীয়দের কাছে বড় শিক্ষা। দিলীপ সামন্ত প্রমাণ করে দিলেন— দায়িত্ব পালন মানেই শুধু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নয়, বরং মানবিকতার পরিচয় দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তার এই কাজ নিঃসন্দেহে সকলের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।