পাঁশকুড়া থানা সূত্রে জানা যায়, পাঁশকুড়া ঘাটাল রাস্তার পিতপুর এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন হোটেল-রেস্টুরেন্টের আড়ালে মধুচক্রের আসর বসত। রেস্তোরাঁ থেকে মধুচক্রের আসরে জড়িত থাকার অপরাধে হোটেল মালিকসহ চার জন পুরুষ ও চার যুবতী সহ মোট আট জনকে রাতে প্রথমে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের মধুচক্রের কারবারে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। পাঁশকুড়া থানা থেকে ১৫ অক্টোবর তমলুক আদালতে তোলা হয়। থানা সূত্রে জানা যায় ধৃত যুবতীরা কেউই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা নয়। চারজনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
সরকারি আইনজীবী শফিউল আলী খান জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে মধুচক্রের আসর চলছিল ওই হোটেল-রেস্তোরাঁয়। পাঁশকুড়া পুলিশ গোপন সূত্র মারফত খবর পায়। অভিযান চালিয়ে চারজন যুবতী ও চারজন পুরুষকে আটক করে। জেলা আদালতে তোলা হলে চারজন পুরুষের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই যুবতীদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি হোমে পাঠান হয়েছে।’ মধুচক্রের আসরে জড়িত থাকার কারবারে ধৃতদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।
আদালত চার যুবতীকে হোমে পাঠানোর নির্দেশের পাশাপাশি বাকি চার জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কালীপুজোর আগে পাঁশকুড়ার মত জায়গায় মধুচক্রের আসরে জড়িত থাকার কারণে হোটেল ও রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই হোটেল ও রেস্তোরাঁর তিনটি রুম সিল করে দেওয়া হয়েছে।