উল্লেখ্য, এর আগেও ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর, জামবনি, বেলপাহাড়ি, লালগড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়েছিল। বিশেষ করে বিনপুর ও বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় বারংবার পোস্টার ও হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে। এরপর পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে বেশ কয়েকমাস এই ধরনের পোস্টার পড়া বন্ধ ছিল।
advertisement
কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের পড়ল এই ধরনের পোস্টার৷ যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। এর পাশাপাশি, বিষয়টির সঙ্গে ব্যক্তি স্বার্থ জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
এদিন মঙ্গলবার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় কণকদূর্গা মন্দির এলাকার বেশ কয়েকটি দেওয়ালে পোস্টারগুলি সাঁটানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় মানুষজনেরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। চাকরি, আবাস যোজনা, এসটি সার্টিফিকেটে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতাদেরকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পোস্টারগুলিতে।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে তুমুল উত্তেজনা, বড়ঞায় রাতভর অবস্থানে অধীর..এবার কি হাইকোর্টে মামলা?
এদিকে মাওবাদী পোস্টার নিয়ে শাসকদল ও বিরোধী দলের মধ্যে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে আঙুল তোলা হয়েছে বিজেপির দিকে৷ অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দিকেই অভিযোগ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে তুমুল উত্তেজনা, বড়ঞায় রাতভর অবস্থানে অধীর..এবার কি হাইকোর্টে মামলা?
এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা নয়াগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক দুলাল মুর্মু বলেন, ” ভোট এলেই বিভিন্ন সমাজ, সন্ত্রাসবাদীরা মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দেয়। জঙ্গলমলের শান্তি দেখে অনেক মানুষের সহ্য হচ্ছে না। মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন। এভাবে পোস্টার সাঁর্টিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছে।”
Raju singh






