সোমনাথ ঘোষ, সুগন্ধা: বৃহস্পতিবার বোনের বাড়ি যাবেন বলে বেড়িয়েছিলেন, নাবালক ছেলে মাকে ট্রেকারে তুলেও দিয়ে এসেছিল। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না মহিলার। শুক্রবার সকালে চক গোটুর পুরোনো বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম রীনা সাঁতরা (৪২)। পোলবা থানার পুলিশ মৃতদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে চুঁচুড়ায়।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগটু গ্রামের বাসিন্দা রীনা সাঁতরা আর ১৫ বছরের নাবালক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। কয়েক বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে পুকুরে জলে ডুবে। এক মেয়ে ছিল, তার বিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটে নাগাদ রীনা হারিট গ্রামে বোনের বাড়ি যাবেন বলে বাড়ি থেকে ছেলেকে নিয়ে বের হন। সুগন্ধা বাগপাড়া মোড় থেকে মাকে ট্রেকারে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে ছেলে। ঘন্টা খানেক পর ছেলে মাসতুতো দাদাকে ফোন করে জানতে পারে মা সেখানে পৌঁছায়নি। এরপর শুরু হয় খোঁজা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে রাত হয়ে গেলেও কোনও সন্ধান মেলে না। সুগন্ধায় অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতেও জানানো হয়।
রীনা সাঁতরার অল্প কিছু জমি আছে। চক গোটু গ্রামে পুরোনো বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাড়ি করে সেখানেই বর্তমানে থাকতেন। পুরোনো বাড়িটি তালা বন্ধই পরে ছিল। শুক্রবার সকালে সেই পুরোনো বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় গলায় সাদা কাপড়ের ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মহিলা। এক সময় অনেক কষ্ট করেছেন এখন আর সেই অভাব ছিল না। তবু কেন এমন ঘটনা বুঝে উঠতে পারছেন না মৃতার আত্মীয়রা। ময়না তদন্তে মৃত্যু কীভাবে তা স্পষ্ট হবে, জানিয়েছে পুলিশ।
