আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থেকে প্রেমিককে দিয়ে নিজের মেয়েকে জোর করে সঙ্গম করানোর অভিযোগ! ধৃত মা এবং প্রেমিক
লক্ষ্মীকান্ত পেশায় রাজ্য পুলিশের থার্ড ব্যাটেলিয়ানের সশস্ত্র কনস্টেবল। ২০১২ সালে রাজ্য পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন। তমলুকের এই পুলিশ কনস্টেবলের কৃতিত্বে শুধু পরিবার নয়, গর্বে উদ্ভাসিত গোটা মথুরি। জেলা পুলিশের তরফ থেকে লক্ষ্মীকান্তের বাবা বনমালী মণ্ডল ও মা বিজললতা মণ্ডলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে হাজির হন তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তমলুক থানার আইসি। তাদের দেখে রীতিমত ঘাবড়ে যান পরিবারের লোকেরা। লক্ষ্মীকান্তর বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন, “আমার ছেলের কিছু হয়নি তো?” তারপরেই পুলিশ অফিসার হেসে উত্তর দেন, “আপনার ছেলে ভালো আছে ও এখন শুধু আপনাদের নয় আমাদেরও গর্ব।”
advertisement
ছোটবেলা থেকেই অ্যাথলেটিক্স ও ভূগোলপ্রেমী লক্ষ্মীকান্তের পাহাড়ের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। প্রাক্তন পুলিশকর্মী পিতা বনমালী মণ্ডল ও মা বিজললতা মণ্ডল ছেলের এই সাফল্যে আপ্লুত। ছেলের এই অর্জনে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। ও যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসে, এটাই কামনা করছেন। খবর, ১২ ই এপ্রিল নেপালের একটি ট্রেকিং সংস্থার তত্ত্বাবধানে অভিযানে বের হন লক্ষ্মীকান্ত। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি ও ক্যাম্পিং শেষে অবশেষে ১৯ মে সোমবার সকালে লক্ষ্যে পৌঁছান লক্ষ্মীকান্ত।
অভিযানে রওনা হওয়ার আগে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। সাফল্যের পর সোমবার দুপুরে মথুরি গ্রামে পৌঁছে লক্ষ্মীকান্তের পরিবারকে সংবর্ধনা দেন তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার, তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার বলেন, ‘কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল যেভাবে গ্রাম ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছেছে যেটা সত্যিই সকলের কাছে গর্বের। লাগাতার প্রচেষ্টা থেকেই এই সাফল্য এসেছে বলে আমরা মনে করি। ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকেও তাকে সব রকমভাবেই সমর্থন জানানো হয়েছিল। তাঁর এই কাজে দেশের সঙ্গে বাবা-মা ও পুলিশ ডিপার্টমেন্টের নাম উজ্জ্বল হয়ে উঠল।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এক্স অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীকান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সৈকত শী





