রিচার পরিবার এখন মুম্বইয়ে, মেয়ের ম্যাচ দেখতেই সবাই সেখানে পাড়ি দিয়েছেন। তালাবদ্ধ রিচার বাড়ি। কিন্তু পাড়ার মানুষদের মুখে এখন শুধু এক নাম—রিচা। তারাই এখন দিন গুনছেন, কখন শহরে ফিরবে তাদের গর্বের মেয়ে। শিলিগুড়িতে ফিরলেই পাড়া-প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে বড় আয়োজনের পরিকল্পনাও চলছে।
রিচার বাড়ির পাশের কাঠের দোকানে বসে থাকা মহাদেব সরকার, বয়স ৬৫। চোখে জল নিয়ে বলেন, “ছোট থেকেই ওর পরিশ্রম চোখে পড়ত। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুশীলনে যেত। একদিন ব্যাট ভেঙে গিয়েছিল, আমি নিজেই সারিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই রিচা আমার নাতনির মতো।”
advertisement
এমন গল্প শুধু এক মহাদেববাবুর নয়। পাড়ার প্রত্যেকেই যেন নিজেদের মেয়ে হিসেবে দেখে রিচাকে। প্রতিবেশী চয়ন পোদ্দার বললেন, “ওকে ছোটবেলা থেকে দেখি, খুব মনোযোগী আর ভদ্র মেয়ে। আজ গোটা দেশ ওর নাম জানে—এর চেয়ে গর্বের আর কিছু হতে পারে না।”
সুভাষপল্লির অলিগলি আজ গর্ব আর আনন্দে মুখর। কেউ ভাবছেন বাড়ি সাজাবেন, কেউ স্কুলে সংবর্ধনা দেবেন, কেউ আবার ফুলের মালা বানানোর অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। সবাই এক সুরে বলছেন— “রিচা আমাদের গর্ব, আমাদের প্রেরণা।”
আরও পড়ুন- দুর্গাপুরে পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু তরুণ ফুটবলার সহ ২ জনের! আশঙ্কাজনক আরও দুই
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন সেই গর্বের মেয়ে ফিরে আসবে নিজের শহরে। আর সেদিন, গোটা শিলিগুড়ি হয়তো একসঙ্গে বলে উঠবে— “বাংলার গর্ব রিচা ঘোষ, তুমি আমাদের আলো।”





