বেঞ্চের অবস্থান অদলবদল করে এই ইউ শেপ আনা হয়েছে। সাধারণত ক্লাসরুমে পিছনের বেঞ্চে বসে স্কুলের দুষ্টু পড়ুয়ারা। এই ধারণা মুছতে বকুলতলা এফপি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে ক্লাসরুমে বেঞ্চ সাজানো হয়েছে অর্ধবৃত্তাকারে। মালায়ালম ছবি ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টুন’- এর অনুকরণে এই কাজ করা হয়েছে। ‘ব্যাকবেঞ্চার’ বলতে আমরা সোজা বাংলায় যা বুঝি, তা হল পিছনের বেঞ্চে বসা ছাত্রছাত্রী।
advertisement
সাধারণত মনে করা হয়, পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাই স্কুলে পিছনের দিকের বেঞ্চে গিয়ে বসে। এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক না হলেও, পিছনের দিকের বেঞ্চে বসা শিক্ষার্থীরা যে অনেক সময়েই শিক্ষক-শিক্ষিকার নজর এড়িয়ে যায়, একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সেকারণে এই ব্যবস্থা। এ নিয়ে বকুলতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিল কুমার সামন্ত জানিয়েছেন, ‘পিছনের বেঞ্চে বসে অনেক পড়ুয়া অমনোযোগী হয়ে পড়ে। নতুন আসন বিন্যাসে শিক্ষকরা সকলের দিকে নজর দিতে পারবে।’
অভিভাবকরাও বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। শিক্ষকদের আশা পরীক্ষামূলক এই ব্যবস্থা স্কুলগুলির ক্রমহ্রাসমান পড়ুয়া সংখ্যা রুখতে পারবে। ‘ব্যাক বেঞ্চের’ ধারণা মুছে নতুন ভাবে সাজবে শ্রেণিকক্ষ। ক্লাসরুম থেকে উঠে যাবে এই ‘ব্যাক বেঞ্চ’। ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’ সিনেমা রিলিজের পর কেরলের বিভিন্ন স্কুলে সিনেমার ধাঁচে ব্যাক বেঞ্চের ধারণা তুলে দিয়ে ক্লাসরুমে পড়াশোনাও শুরু হয়। সম্প্রতি বাংলাতেও ইউ আকৃতিতে ক্লাসরুম সাজাতে শুরু করে অনেক স্কুল। এবার সেই তালিকায় জুড়ল বকুলতলা এফপি স্কুলের নাম।
নবাব মল্লিক





