ছাত্র নেতা হিসেবে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। জলঙ্গি বিধানসভা থেকে দুবার কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যদিও পরাজিত হন। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা গনি খান চৌধুরীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। একবার বহরমপুর পুরসভার কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একসময় মুর্শিদাবাদ জেলার তৃনমূল সভাপতি ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি প্রথম তৃণমূলের প্রতীকে সাগরদিঘীর থেকে ২০১১ সালে একমাত্র বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাগরদিঘী থেকে তিনবারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগদানের পর আন্তিলিয়াতে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন, ফুল বিছিয়ে স্বাগত জানানো হল অনন্ত-রাধিকাকে
বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু সংবাদ পেতেই হাসপাতালে একে একে এসে উপস্থিত হন জেলার সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনী সিংহ রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জাকির হোসেন, বহরমপুর পুরসভার পুরপিতা নাড়ু গোপাল মুখার্জী-সহ অন্যান্য। প্রথমে বহরমপুরে বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত সাহার মৃতদেহ। এরপর বহরমপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়ে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান সকল নেতা কর্মীরা। এরপর সাগরদিঘির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। সেখানে গান স্যলুটের মাধ্যমে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়।
বহরমপুরের শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজনৈতিক জীবনে সুব্রতবাবুর সঙ্গে একসঙ্গে কাটানো স্মৃতি মনে করে ভারাক্রান্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, দলের সমস্ত লড়াইয়ে সব সময় সঙ্গে ছিলেন সুব্রতবাবু। তার এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। দলের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি অপূরনীয়। জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, সুব্রতবাবুর এই আকস্মিক মৃত্যু বেদনানায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল দলের একজন সৈন্য কমে গেল। ওনার পরিবারের পাশে আমরা আছি।