পড়শী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে আসা উত্তুরে বায়ু রাজ্যের দূষণ বাড়িয়ে দেয়। সেজন্যই বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনটি স্তরে সীমান্তে প্রচুর সংখ্যায় বৃক্ষরোপণ করা হবে। তার ফলে দূষিত বায়ু রাজ্যে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হবে। রাজ্যে আসবে পরিশ্রুত বায়ু। ফলে রাজ্যে দূষণের মাত্রা কমবে। পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের কর্তারা মনে করছেন, এই পরিকল্পনা যথেষ্ট ফলপ্রসু হবে। একদিকে যেমন সবুজের পরিমাণ বাড়বে, তেমনভাবেই দূষিত উত্তুরে বায়ু পরিশ্রুত হয়ে রাজ্যে প্রবেশ করবে। ফলে শীতকালে রাজ্যে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া অনেকটা কমবে। যার সুফল ভোগ করবে গোটা রাজ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমান্তে চলছে বড় কর্মকাণ্ড! এবার কি বাড়বে আলুর জোগান?
আরও পড়ুন: বাংলায় প্যাংগং লেক রয়েছে জানতেন? প্রকৃতির উজাড় করা রূপ আপনার অপেক্ষায়, রইল ঠিকানা
পাশাপাশি আসানসোল এবং দুর্গাপুরের মত শিল্পাঞ্চলে দূষণের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা নামবে। সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন শহরবাসী। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি কর্মসূচির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের একাধিক জায়গায় দূষণের মাত্রা অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। বায়ু দূষণের সূচক অনেকটাই নীচে নেমেছে। সেই সূচক আরও নীচে নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
দূষণের মাত্রা একদম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে শহরের প্রায় ১০০ টি কারখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। তাদের দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারখানাগুলির আধিকারিকদের প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রগুলি যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
নয়ন ঘোষ