অর্পিতা কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া দেখে পেন্টিং, ক্লে আর্ট, চারকোল আর্ট, পেন্সিল স্কেচ, ক্যানভাস ইত্যাদি নানান শিল্পকলা শিখেছেন। প্রতিভাবান এই শিল্পী নিজের শিল্পসত্ত্বার জন্য ইতিমধ্যেই দু’টি সংস্থা থেকে সম্মানিত হয়েছেন, মিলেছে প্রশংসাপত্র সহ পদক।
আরও পড়ুনঃ দুঃস্থ শিশুদের মুখে ফুটল হাসি! SRK CFC ফ্যান ক্লাবের ১২ বছর, কীভাবে উদযাপন করল দেখলে মুগ্ধ হবেন
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর লাগোয়া বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার শ্রীপল্লী কলোনির বাসিন্দা অর্পিতা। তিনি দুর্গাপুর ডিপিএল ওল্ড গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট আইটিআই কলেজের পড়ুয়া। পাশাপাশি তিনি বড়জোড়া কলেজের স্নাতকের ছাত্রী। তাঁর বাবা অসীম সমাদ্দার পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। মা অঞ্জলি সমাদ্দার গৃহবধূ। অর্পিতার এক ভাই রয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকি পছন্দ করতেন। পাশাপাশি শৈল্পিক গুণাবলি ছিল অর্পিতার। সেই জন্য তাঁর বাবা-মা ছোটোবেলাতেই আঁকার স্কুলে ভর্তি করে দেন। কিন্তু অর্পিতার আঁকার স্কুলের প্রশিক্ষণে মন টেকেনি। তিনি নিজেই বাড়িতে আঁকাআঁকি শুরু করেন। নিজের শৈল্পিক গুণকে কাজে লাগিয়ে চিত্রকলা সহ মাটির তৈরি নানা শিল্পকলা বানাতে শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি চলতে থাকে উচ্চশিক্ষা।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা বেহাল, টাকা বরাদ্দ হলেও থমকে কাজ! কবে শুরু হবে? অবশেষে বড় আপডেট দিলেন বিডিও
কয়েকদিন আগে ফেলে দেওয়া তালের আঁটির উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্বামী প্রেমানন্দজি মহারাজের মুখ ফুটিয়ে তুলে তাক লাগিয়েছেন এই শিল্পী। ইতিমধ্যেই সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মাটি, চারকোল ও রঙ সহ নানা উপকরণ দিয়ে ছবি সহ কারুকার্য ফুটিয়ে তোলেন তিনি।
অর্পিতার শিল্পসত্ত্বা, শৈল্পিক গুণাবলি, সৃজনশীলতা ও দক্ষতা সহ কল্পনার মাধ্যমে গড়ে ওঠা শিল্পকলা নজর কাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া সহ শিল্পাঞ্চলবাসীর। তিনি আইটিআই কলেজের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক রমেশ রক্ষিতের ছবি মাটির থালায় এঁকেছেন। ওই ছবি রমেশবাবুকে উপহারও দিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রমেশবাবু জানান, অর্পিতা পড়াশোনার পাশাপাশি রংতুলির কাজে বেশ পারদর্শী। তিনি কলেজের নানান প্রজেক্টের কাজেও তাঁর শিল্পসত্ত্বা ফুটিয়ে তোলেন। অর্পিতার মায়ের দাবি, তাঁর শিল্পীসুলভ কার্যকলাপে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হয়। তাঁর আঁকাআঁকিতে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার প্রায় ৪০ জন পড়ুয়া অর্পিতার কাছে বর্তমানে আঁকা শিখছে।