উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লক ও দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকে বনাঞ্চল রয়েছে। তবে কাঁকসার ঘন ও গভীর গড় জঙ্গল প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে বহু যুগ আগেই। বর্তমানে ওই গভীর জঙ্গলে সংরক্ষণ করা হয়েছে চিতল হরিণ। এছাড়াও প্রচুর ময়ূর, গন্ধগোকুল, বুনো বিড়াল, শিয়াল, হনুমান ও পাইথন সহ বিষধর সাপখোপ সহ নানান জীবজন্তু রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক বছরে বেড়ে গিয়েছে নেকড়ের সংখ্যাও বলে দাবি দুর্গাপুর বন দফতরের৷ ওই গভীর জঙ্গলে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ গ্রামই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। গ্রামবাসীরা সাধারণ ভাবেই বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল পালন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতে বিপুল চাহিদা, সামান্য বিনিয়োগে অঢেল আয়! কৃষকদের ভাগ্য বদলের কারিগর ফুলের চারা
তাঁদের গরুছাগলের চারণভূমি বলতে ওই গভীর জঙ্গল। পুরুষ মহিলা সকলেই জঙ্গলে গরু, ছাগল চরাতে যান। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই জঙ্গলে গরুছাগল চরাচ্ছেন। হিংস্র জন্তুর উৎপাত এতটাও ছিলনা। বরং রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে শেয়াল ও বুনো বিরাল হাঁসমুরগি ও ছাগল নিয়ে পালাত। সেই উৎপাত এখনও রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে জঙ্গলে নেকড়ের দৌরাত্ম্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গলে ছাগল চরাতে নিয়ে গেলেই ছাগলের পালকের পিছু করছে নেকড়ের দল। ছাগল পালকদের চোখের সামনেই নেকড়ে শিকার করে নিয়ে চলে যাচ্ছে ছাগল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিমধ্যে এলাকার এক একজন ছাগল পালকের তিন থেকে চারটি করে ছাগল নেকড়ের শিকার হয়েছে বলে দাবি৷ ফলে গভীর শুনশান গড় জঙ্গলে ব্যাপক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গবাদিপশু পালকরা। বন দফতরের দাবি, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গল হয়ে কাঁকসা ও দুর্গাপুর – ফরিদপুরের জঙ্গলে দেখা মিলেছে একাধিক ভারতীয় নেকড়ে দলের। তারা সংখ্যায় প্রায় ৪০ টি রয়েছে। ওই তিনটি ব্লকের জঙ্গলে নেকড়ের দল ঘোরাফেরা করছে। কয়েক বছরে নেকড়ের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষকে সচেতন ও সাবধানতার বিষয়ে সতর্ক করার একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।





