Floriculture News: শীতে বিপুল চাহিদা, সামান্য বিনিয়োগে অঢেল আয়! কৃষকদের ভাগ্য বদলের কারিগর ফুলের চারা

শীতের মরশুম শুরু হতেই পূর্বস্থলীর নার্সারিগুলিতে মরশুমি ফুলের চারার বিক্রি হু-হু করে বাড়ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে গোটা এলাকা। শীতের শুরুতেই ফুলের চাহিদা বাড়ায় নার্সারি মালিকদের মুখে ঝরছে তৃপ্তির হাসি। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)

পূর্ব বর্ধমানের ফুলচাষ যেন আরও সবুজের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্যের বাইরেও। পূর্বস্থলীর নার্সারিগুলির ফুলের চারা লরি করে পাঠানো হচ্ছে আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে। কয়েকটি নার্সারিতে তো প্রতিদিনই বড় ট্রাকে লোড হয় বিপুল পরিমাণ চারা।

গ্রামের বহু যুবক ভোর হতেই ফুলের চারা নিয়ে ট্রেনে চেপে পাড়ি দিচ্ছেন ভিনরাজ্যে। সেখানে হাটে-ঘাটে, শহরের মোড়ে কিংবা পাইকারদের কাছে চারা বিক্রি করে ভালই আয় করছেন তাঁরা। ফুলচারা বিক্রি আজ গ্রামীণ যুবকদের কাছে নতুন কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিয়েছে।

গাঁদা, গোলাপ, টগর, চন্দ্রমল্লিকা সহ নানা জাতের ফুলের চারা পূর্বস্থলী থেকে ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং অন্যান্য রাজ্যেও। শীতকালীন বাগান সাজাতে এই চারাগুলির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় নার্সারিগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে।

পূর্বস্থলীর বহু কৃষক এখন বিকল্প চাষ হিসেবে ফুলচাষকে বেছে নিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই ধান, আলু বা সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলচাষ শুরু করেছেন। চারা বিক্রি করে তাঁদের পরিবারেও এসেছে আর্থিক স্বস্তি। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)