উল্লেখ্য, সোমবার থেকে অবৈধ টোটো বন্ধের দাবিতে সরব হয় দুর্গাপুর মিনিবাস ও অটো চালকেরা। ওই দিন থেকেই মিনিবাস ও অটো পরিষেবা বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও অটো মালিকেরা ধর্মঘটের ডাক দেন। তিন দিন ধরে চলছে ধর্মঘট। ফলে সাধারণ মানুষ-সহ পড়ুয়ারা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। বাস মালিক ও অটো চালকদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।বাস মালিক ও অটো চালকদের দাবি, শহরজুড়ে অবৈধ টোটো চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও অটো পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বাদে গন্ধে ভরপুর! ভিন জেলার মানুষের মন মাতাচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজের বিখ্যাত এই জিনিস!
দুর্গাপুর শহরে মিনিবাস পরিষেবা বহু বছর ধরে চলে আসছে। বর্তমানে ২২০টি মিনিবাস চালু রয়েছে। টোটোর দৌরাত্ম্যে বহু রুটে বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। পাশাপাশি প্রান্তিকা অটো স্ট্যান্ডে ৬০টি অটো আছে। কিন্তু হাজার হাজার টোটোর চাপে পড়ে অটোর যাত্রী মিলছে না। এদিকে টানা ধর্মঘট চলায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সেই বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ তুলছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। অবিলম্বে পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার দাবিতে মহকুমা শাসকের দফতরের বাইরে মিছিল করেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ বাবার ‘লালসা’র শিকার মেয়ে! খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল রাজ্যের আদালত
কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরের ভিতরে জোর করে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড ফেলে দিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁদের। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দফতরের বাইরে বের করে দেয়।বাইরে বসেই চলে ফের বিক্ষোভ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তুলতে গেলে ফের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই ধস্তাধস্তির জেরে পড়ে যান দেবেশ চক্রবর্তী। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কংগ্রেসের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অটো এবং মিনিবাস কর্মচারীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলাম। আমাদের বাধা দেয় পুলিশ।”