TRENDING:

Gold Found in Drain: আকাশছোঁয়া সোনার দামের মাঝেই নালায় বইছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি, তাজ্জব ঘটনা দুর্গাপুরে

Last Updated:

West Bardhaman Gold Found in Drain: দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের নর্দমায় বয়ে চলেছে লক্ষ টাকার সোনা, বৃদ্ধ,বৃদ্ধা,গৃহবধূ থেকে কচিকাঁচা সকলেই তুলছেন সেই সোনা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের নর্দমায় বয়ে চলেছে লক্ষ টাকার সোনা। সোনার দাম যেখানে আকাশছোঁয়া, সেখানে দুর্গাপুরের নালা নর্দমায় বয়ে চলেছে ভুরি ভুরি সোনা। আর মহা মূল্যবান ওই হলদে ধাতু সংগ্রহ করতে নর্দমায় নেমে পড়েছেন বয়স্ক বৃদ্ধা, মহিলা, পুরুষ কচিকাঁচা থেকে সকলেই। শুনে নিশ্চই অবাক হচ্ছেন? লক্ষ লক্ষ টাকার ওই সোনালী ধাতু সংগ্রহ করতে নোংরা দূষিত নর্দমার জল যেন তাঁদের কাছে গঙ্গাজলের চেয়েও পবিত্র। শহরের কালো দুর্গন্ধ নর্দমার জলের বর্জ্যতে  রয়েছে তাঁদের জীবন-জীবিকার উৎস। বর্তমান বাজারে ১ ভরি সোনার দাম ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। আর ওই সোনা মিলছে শিল্পাঞ্চলের নর্দমায়! শুনতে আবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। কেবল নর্দমায় নয় সোনা পট্টির অলিতে-গলিতে রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছে সোনার ধূলিকণা। কেবল সোনা নয় পড়ে আছে চাঁদিও।
advertisement

মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেহেরাদের দল ওই সোনা সংগ্রহ করতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলে ডেরা বাঁধেন। পরিবারের ছোটো থেকে বড় ও মহিলা থেকে পুরুষ সকলের জীবিকা সোনার ধূলিকণা সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করা। আসানসোল, রাণীগঞ্জ ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সোনা পট্টিগুলিতে গিয়ে তাঁরা ওই সোনা সংগ্রহ করেন। ওই আদিবাসী জনগোষ্ঠী নিজেদের নেহরা বলেই পরিচয় দেন। সোনা পট্টিতে কেবল একাধিক সোনার দোকান ও অলঙ্কার তৈরির কারখানা রয়েছে। যেখানে বসে স্বর্ণকাররা সোনা- রুপোর গয়না তৈরি করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতেন ধর্মেন্দ্রকে, সম্পর্কও ছিল ভাল! অভিনেতার প্রয়াণে পুরনো স্মৃতি কাঁদাচ্ছে পুরুলিয়ার মুকেশকে

View More

সেই সময় সোনার টুকরো ও সোনার গুড়ো ছিটকে ও হাওয়াতে উড়ে যায়। এছাড়াও কারিগরদের জামাকাপড় ও যন্ত্রপাতির সঙ্গেও অদৃশ্যভাবে সোনার ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলি দোকান থেকে রাস্তার ধূলো ময়লায় চলে যায়। সেখান থেকে নর্দমার জলে পড়ে পলিতে মজে থাকে। ওই সোনার ধূলিকণা সংগ্রহ করেন নেহরার দল। এক একটি দলে ৮ থেকে ১০ জন থাকেন। সারাদিন ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম সোনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। অর্থাৎ এক থেকে দেড় গ্রাম৷ প্রায় ৬০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় তাঁর এই কাজ করে আসছেন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
২৬/১১-র ১৭ বছর, মায়ানগরীতে গিয়ে ছেলে আর ফেরেনি, ১৭ বছর আগের স্মৃতি আঁকড়ে বৃদ্ধ বাবা-মা
আরও দেখুন

এছাড়াও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাত থেকেও অনেক সময় নর্দমায় সোনা পড়ে যায় তখন ব্যবসায়ীরা নেহেরাদের সাহায্যেই সেই সোনা পুনরুদ্ধার করতে পারেন। নর্দমার কালো নোংরা আবর্জনা দেখলেই আমরা নাক সিঁটকোই। আর সেখান থেকেই সোনা, রূপো ও হিরের মতো মূল্যবান ধাতু খুঁজে বার করেন তাঁরা। আর এটাই তাদের পেশা! হামেশাই বিভিন্ন রকম অদ্ভুত পেশার কথা আমরা জানতে পারি। এই পেশাও নিঃসন্দেহে পথচলতি মানুষের  মধ্যে বেশ কৌতূহল জাগায়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Gold Found in Drain: আকাশছোঁয়া সোনার দামের মাঝেই নালায় বইছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি, তাজ্জব ঘটনা দুর্গাপুরে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল