মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেহেরাদের দল ওই সোনা সংগ্রহ করতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলে ডেরা বাঁধেন। পরিবারের ছোটো থেকে বড় ও মহিলা থেকে পুরুষ সকলের জীবিকা সোনার ধূলিকণা সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করা। আসানসোল, রাণীগঞ্জ ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সোনা পট্টিগুলিতে গিয়ে তাঁরা ওই সোনা সংগ্রহ করেন। ওই আদিবাসী জনগোষ্ঠী নিজেদের নেহরা বলেই পরিচয় দেন। সোনা পট্টিতে কেবল একাধিক সোনার দোকান ও অলঙ্কার তৈরির কারখানা রয়েছে। যেখানে বসে স্বর্ণকাররা সোনা- রুপোর গয়না তৈরি করেন।
advertisement
সেই সময় সোনার টুকরো ও সোনার গুড়ো ছিটকে ও হাওয়াতে উড়ে যায়। এছাড়াও কারিগরদের জামাকাপড় ও যন্ত্রপাতির সঙ্গেও অদৃশ্যভাবে সোনার ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলি দোকান থেকে রাস্তার ধূলো ময়লায় চলে যায়। সেখান থেকে নর্দমার জলে পড়ে পলিতে মজে থাকে। ওই সোনার ধূলিকণা সংগ্রহ করেন নেহরার দল। এক একটি দলে ৮ থেকে ১০ জন থাকেন। সারাদিন ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম সোনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। অর্থাৎ এক থেকে দেড় গ্রাম৷ প্রায় ৬০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় তাঁর এই কাজ করে আসছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাত থেকেও অনেক সময় নর্দমায় সোনা পড়ে যায় তখন ব্যবসায়ীরা নেহেরাদের সাহায্যেই সেই সোনা পুনরুদ্ধার করতে পারেন। নর্দমার কালো নোংরা আবর্জনা দেখলেই আমরা নাক সিঁটকোই। আর সেখান থেকেই সোনা, রূপো ও হিরের মতো মূল্যবান ধাতু খুঁজে বার করেন তাঁরা। আর এটাই তাদের পেশা! হামেশাই বিভিন্ন রকম অদ্ভুত পেশার কথা আমরা জানতে পারি। এই পেশাও নিঃসন্দেহে পথচলতি মানুষের মধ্যে বেশ কৌতূহল জাগায়।





