থিম পুজোগুলিতে মূলত রাজ্যের, ভিন রাজ্যের ও দেশবিদেশের ধর্মস্থান ও ঐতিহাসিক স্থানগুলির অনুকরণে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়। কিন্তু কাল্পনিক ওই থিম গড়ে নজর কাড়তে চলেছে এবার নবারুণ ক্লাব পুজো কমিটি। ঠিকানাটা জেনে নিন। দুর্গাপুর ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ভিড়িঙ্গী এলাকায় বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে ওই যক্ষপুরী সাম্রাজ্য। ফাইবার, ফিতে, সুতো ও ফোম দিয়ে তৈরি হচ্ছে যক্ষপুরী। লক্ষাধিক অত্যাধুনিক লাইট দিয়ে মণ্ডপে থাকছে ব্যপক আলোর রোশনাই। মণ্ডপের আনাচে কানাচে আলোর ঝলকানি মুগ্ধ করবে দর্শনার্থীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ হাজার বছরের পুরনো জিনিসপত্র, মূল্য বলে বোঝানো মুশকিল! জানুন রয়েছে কোথায়?
উজ্জ্বল ওই মণ্ডপে শিল্পীর নিখুঁত হাতে গড়ে তোলা মণ্ডপসজ্জা দর্শনার্থীদের চমক দেবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যেক্তারা। তাঁদের পুজোর থিম প্রায় প্রতিবছরই সেরার সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছে। প্রতিবছরই মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই দুর্গা প্রতিমা গড়ে তোলা হয়। যা দর্শনার্থী ও ভক্তদের মধ্যে মণ্ডপের পাশাপাশি প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পুজো কমিটি যেখানে বিশাল ময়দান জুড়ে বসে মেলা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজোয় মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মেলায় ঘোরাঘুরি চোখে পড়ার মতো হয়। মেলায় কেনাকাটা ও খাওয়াদাওয়া মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা। বহু বছর ধরে ওই মেলা হয়ে আসছে। পুজো ও মেলাকে ঘিরে পুজোর ক’টা দিন এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। ১০ দিন ধরে চলে ওই মেলা। জাতীয় সড়কের পাশে মেলা ও পুজো মণ্ডপ হওয়ায় বিপদজনক এলাকায় পুলিশের তৎপরতাও থাকে অনেক বেশি। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনীর কড়া নজরদারি চলে ২৪ ঘন্টা।
এছাড়াও পুজো কমিটির সদস্যরা সর্বক্ষণ তৎপর থাকেন। তবে এবারে তাঁদের নজীরবিহীন থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের পুজো এবার ৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। ওই পুজো কমিটির পুজো কার্নিভালে প্রতিবছরই অংশ গ্রহণ করে এবং পুরস্কার প্রাপ্তও হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে পুজো কমিটির ব্যস্ততা এখন চরমে।





