উদ্যোক্তাদের দাবি, দুর্গা প্রতিমাও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে মণ্ডপ সহ মণ্ডপ চত্বরও। তাঁদের পুজো এবার ৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বহুবছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো হত। সেকালেও তেমনভাবে থিম পুজোর চল ছিল না। ওই হাতেগোনা বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্গাপুর ডুমুরতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। তাঁদের পুজো মণ্ডপ ও পরবর্তীকালে থিম পুজো দর্শনার্থীদের প্রতিবছরই মুগ্ধ করে এসেছে৷ বহু বছর ধরে এই পুজো কমিটি দুর্গাপুজোর থিমে একের পর চমক দিয়ে আসছে দর্শনার্থীদের। সেরার শিরোপাও পেয়েছে বহুবার।গত বছর তাঁদের থিম ‘এক টুকরো রাজস্থান’ দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছিল।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের ওই পুজো কমিটির সদস্য মিন্টু বাগচী ও গোপাল বাগচী জানান, এবারের তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। নবদ্বীপের শিল্পীরা বিগত কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সম্পূর্ণ হোগলা পাতা দিয়ে মণ্ডপটি গড়ে তুলছেন। কাপড় ব্যবহার না হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে হোগলা পাতা লেগেছে। হোগলা পাতা দিয়ে মণ্ডপের কারুকার্য ও নকশা করা হয়েছে। ওই মণ্ডপের অন্দরমহলে বাবুইপাখির বাসা, পাখি সহ লতাপাতা দিয়ে সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে। ৫০ ফুট উচ্চতা ও চওড়া মণ্ডপ গড়ে উঠেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিগত দিনে তাঁদের পুজোর কিছু থিম যেমন বরফের পাহাড় ও আদিবাসী জীবনযাত্রা বেশ আকর্ষণীয় হয়েছিল। আকর্ষণীয় মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে সারারাত ধরে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় হয়ে থাকে। দুর্গাপুর শহরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ ডুমুরতলার মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে আসেন। নবমীতে প্রায় দু’হাজার মানুষকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়।