এই সমিতির মূল লক্ষ্য হল বিশেষভাবে সক্ষমরা যাতে সমাজে পিছিয়ে না পড়ে সেই দিকে নজর রাখা। তাদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনারও দায়িত্ব নিয়েছে তারা।তমলুকের এই নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোম আবাসিকে থাকা ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে। এবারও অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি দৃষ্টিহীন মুক ও বধির ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। প্রত্যেকেই ব্রেইল মাধ্যমে পড়াশোনা করেছিল। আর পড়াশোনার পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রত্যেকেই ৬০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুলকে টেক্কা! এবার এই সরকারি স্কুল আনছে নতুন অ্যাপ, বদলে যাবে পড়াশুনোর পুরো সিস্টেম
এ বিষয়ে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক যোগেশচন্দ্র সামন্ত জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম এই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ থেকে স্বনির্ভর হচ্ছে। কেউ ভাল গান গায়, কেউ ভাল আবৃত্তি করে। আবার কেউ পাট দিয়ে নানা জিনিসপত্র তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি এরা সবাই পড়াশোনা করছে। এরকমই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী দিনে তাদের কলেজে পড়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সমাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হল তাদের হাতের কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করে তোলা। আর তার পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য বিশেষ স্কুলের ব্যবস্থা করে পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে।
সৈকত শী





