পরিবেশবিদদের কথায়, গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য পাখি এসেছিল করোনার সময়। ২০২০ সালে ৫৬৯৪, পরের বছর ৫৬৫১ এবং ২০২৩ সালে পাখির সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৭৪২। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে ২০২৪ সালের শুরুতে তা কমে দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজারের কিছু বেশি। যার মধ্যে লেসার হুইসলিং ডাক ছিল সর্বাধিক। এর পাশাপাশি গ্যাডওয়াল, সিনামন বিটার্ন, ইয়ালো বিটার্ন, ব্ল্যাক-উইংড স্টিল্ট, লিটল করমোর্যান্ট, কমন মুরহেন, হোয়াইট-ব্রেস্টেড ওয়াটারহেন, ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন, ক্যাটেল ইগ্রেট, ব্রোঞ্জ-উইংগড জাকানা, বার্ন সোয়ালো, পার্পল হেরন এবং হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ডেরা বাঁধার উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে এ বছর শীতের মরশুমে সাঁতরাগাছি ঝিল থেকে মুখ ফিরিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা। ফলে সাঁতরাগাছি ঝিলে এবার পরিযায়ী অতিথিদের দেখা মেলাই ভার। ঝিলে কচুরিপানা একেবারে না থাকলে যে পরিমাণ নিউট্রি অ্যান্ড ইউটপিফিকেশানের কারণ হতে পারে, অর্থাৎ ঝিলের জল পচে গিয়ে নষ্ট হতে পারে। তার জন্য সর্বপ্রথম কাজ হল ঝিলে আটকে পড়া নোংরা জল পরিশুদ্ধ করে ঝিলের স্বাস্থ্য ফেলা দরকার। কতটা কচুরিপানা থাকলে ভাসমান দ্বীপ তৈরি করতে পারবো পাখিদের জন্য সেটা ভাবতে হবে। কারণ কচুরিপানা থাকলে পাখিরা নিশ্চিন্তে জলে সাঁতার কাটে, ভয় পায় না। সেক্ষেত্রে কচুরিপানা না থাকলে পাখিদের কিভাবে নিরাপত্তা দিতে পারবো সেটাও চিন্তার বিষয়।
আরও পড়ুন: রূপনারায়ণের পারে পিকনিক! সব আয়োজন হবে এক ফোনেই! জানুন বিস্তারিত
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এবারে শীত দেরিতে এসেছে। তবে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পরেই ঝিল পরিষ্কারের কাজে হাত দেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে ঝিলের মাঝখানে কচুরিপানা দিয়ে ছোট ছোট দ্বীপ তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই কাজটাই এবারে না হওয়ায় পাখিরা কার্যত মুখ ফিরিয়েছে। আবার বিভিন্ন নর্দমার জল ঝিলে মিশে যাওয়ার ফলে জলের দূষণমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে পাখিদের খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। ঝিলের চারপাশে বহুতল বাড়ি নির্মাণ এবং ট্রেনের যাতায়াতের শব্দে অতিষ্ঠ পাখিরা আর এখানে বসতে চাইছে না।
রাকেশ মাইতি





