ইতিমধ্যেই কৃষি কাজের জন্য দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৬ হাজার কিউশেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের দিকে যে দুটি প্রধান সেচ খাল রয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে জল পৌঁছে যাবে কৃষকদের জমিতে। সেচ দফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন রাজ্যের পাঁচটি জেলার কৃষকরা। পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলির কৃষকরা এই জল পাবেন কৃষি কাজের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন : সরকারি আধিকারিককে পুরো একটা দিন এলাকায় কাটানোর প্রস্তাব! হঠাৎ কী হল?
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে আমন ধান চাষের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার একর ফিট জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে কৃষিকাজের এই জল দেওয়া হবে। তার মধ্যেই বৃষ্টির পরিমাণ দেখে জল ছাড়া পরিমাণ কম, বেশি করা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে কৃষি কাজের প্রয়োজনে আরও জল দেওয়া হতে পারে বলে খবর। যা চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে কতটা জল দেওয়া হবে, তা পুরোটাই নির্ভর করছে বর্ষার গতিবিধির উপর।
আরও পড়ুন : বর্জ্য থেকেই তৈরি হবে সার এবং প্লাস্টিক সিট, হবে কর্মসংস্থান! দূষণ রুখতে বড় উদ্যোগ
সূত্রের খবর, গত বছর আমন ধান চাষের জন্য যে জল ছাড়া হয়েছিল, তার ফলে ৮ লক্ষ ২০ হাজার একর ফিট জল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এবারও ততটা পরিমাণ জল কৃষকরা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত জুলাই মাসের শেষ পর্যায়ে এসেও বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় সেচ দফতর কৃষিকাজের জন্য এই জল দিচ্ছে। সেচ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই জল ছাড়া হচ্ছে। দামোদরের উচ্চ এবং নিম্ন অববাহিকায় বৃষ্টির পরিমাণ দেখে জল ছাড়ার পরিমাণ কম, বেশি হওয়া নির্ভর করছে বলে খবর।
নয়ন ঘোষ





