শিক্ষকরাও প্যান্ট গুটিয়ে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে শিক্ষাদান করছেন পড়ুয়াদের। এই ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ১ ব্লকের গীধগ্ৰাম পঞ্চায়েতের, কলসা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন মল্লিক বলেন, আট বছর এই বিদ্যালয়ে রয়েছি, প্রায় প্রত্যেক বছর একই সমস্যা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে কিন্তু এখনও সুরাহা হয়নি। সকলেরই প্রচন্ড অসুবিধা হয়, খুব কষ্ট হয়।
advertisement
বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গ্রামবাসীদের কথায়, এই ছবি আজকের নতুন নয়। বিগত আট থেকে দশ বছর ধরে একই পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে এই বিদ্যালয়ের। অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পরে গোটা বিদ্যালয়। ক্লাসরুমের মধ্যেও ব্যাপক ভাবে জল জমে যায়। জল জমে গেলে ওই জলমগ্ন পরিস্থিতিতেই চলে পঠন পাঠন। ছোট ছোট পড়ুয়াদেরও এই জমা জলের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে সমস্যা হলেও কিছুই করার নেই!
এখনও অবধি সুরাহা না মেলার কারণে জলে পা ডুবিয়ে রেখেই ক্লাস করতে হয় পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিশু ও নারী জনকল্যাণ ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ তৃষা চ্যাটার্জী জানান, জল জমে থাকার জন্যে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা হয়। প্রশাসনকে জানান হয়েছে এই বিষয়ে। নতুন বিল্ডিং হলে সকলেরই সুবিধা হবে।
প্রশাসনকে জানানোর পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রত্যেক বছরই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে হয় শিক্ষক থেকে পড়ুয়া সকলকেই। একাধিকবার মিলেছে আশ্বাস তবে এখনও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন যে পড়ুয়াদের কথা ভেবে বিগত আট থেকে দশ বছরে কেনও এই সমস্যার সমাধান করা হল না? তবে এখন দেখার বিষয় কবে এই সমস্যার সমাধান হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





