প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০ জনের একটি গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের দল রয়েছে। তারাই সারা বছর এলাকা পরিদর্শন করেন সরকারি আবাস যোজনা থেকে ভাতা প্রকল্পের সমীক্ষা এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সচেতনতা। বর্ষার সময় নিশ্চিদ্র অভিযান চলে, স্কুল, কলেজ, ক্লাব, প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকার রাস্তার পার্শ্ববর্তী নিকাশী এবং পরিত্যক্ত জিনিসে জল জমা বা ড্রেন অবরুদ্ধ হয়ে থাকা নজরদারি করেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। ডেঙ্গি প্রকোপ বাড়লে কাজের চাপ বাড়ে গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সহ অন্যান্য কর্মীদের।
advertisement
এদিন সাঁকরাইল ব্লকের দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হালিশহর এলাকায় বিপ্লব মান্নার (বাবা- গোপাল মান্না) বাড়িতে ডেঙ্গি সচেতনতায় গেলে বাধাপ্রাপ্ত হন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। সেই বাধা উপেক্ষা করে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাজ করতে গেলে হঠাৎই বাড়ির মালিক বিপ্লব মান্না গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়েন। কোনোক্রমে মুখ সরিয়ে নিতে পারলেও পিঠ এবং ঘাড়ে অ্যাসিড পড়ে। ঘটনায় দু’জন মহিলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী আক্রান্ত। ঘটনায় একজনের পিঠ ও ঘাড়ে বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে, অন্য জনের সামান্য।
সাঁকরাইল ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ওই বাড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হবার ঘটনা ঘটে। এবার কিছু দিন আগেই ওই বাড়িতে ডেঙ্গি বাহক মশার লার্ভা পাওয়া যায়। গত শনিবার সাঁকরাইল ব্লক সমষ্টি আধিকারিক, ব্লকের কয়েক জনের একটি দল এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা ওই বাড়ি পরিদর্শন করেন। এর পর মঙ্গলবার অভিযুক্ত বিপ্লব মান্নার বাড়ি এবং বাড়ি চত্বরে টব-সহ বিভিন্ন সামগ্রীতে জল জমা থাকে। যেখান থেকে ডেঙ্গি মশার বংশ বিস্তার ঘটতে পারে। সেই সমস্ত পাত্র থেকে জল নিকেশ করতে গিয়েই আক্রান্ত হয় দুই গ্রামীণ সম্পদ কর্মী।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খড়দহের বিটি রোডে স্কুল বাসের ধাক্কা, পিষে মৃ*ত সাইকেল আরোহী, আহত ২
ঘটনা ঘটতে দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতে অফিস পৌঁছয়। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় সাঁকরাইল হাজী এসটি হাসপাতালে। পাশাপাশি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয় পুলিশে এবং ব্লকে। এ বিষয়ে সাঁকরাইল ব্লক সমষ্টি আধিকারিক জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েত, আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ব্লক এ বিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত জানাচ্ছে। সাঁকরাইল থানার সহযোগিতায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।