বিশ্ব-স্বীকৃতি এলেও এবার তা অটুট রাখতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে, এই ভাবনায় উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বৈঠকে করেছেন বেশ কয়েকবার। তবে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য, ভাস্কর্য সহ ১৯৩৫ সালের আগে নন্দলাল বসু, রামকিঙ্কর বেইজ সহ স্বনামধন্যদের ভাস্কর্য, স্থাপত্য বাঁচাতেই বিশেষ পরিকল্পনা বীরভূমের বোলপুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরও পড়ুন: তাড়াহুড়ো করে বিপদ বাড়ানো নয়! ভূমিকম্প থেকে অন্যকোন দুর্যোগ, জেনে নিন নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়
advertisement
প্রসঙ্গত, রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম সৃষ্টি কতগুলি দিন টিকে থাকবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কলাভবনের অধ্যাপকদের একাংশ। ভগ্ন অবস্থায় পড়ে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত গান্ধী মূর্তি। কলাভবন প্রাঙ্গনে আচার্য নন্দলাল বসু এবং রামকিঙ্কর বেইজের মূল্যবান ভাস্কর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রত্যেকেই চাইছেন শান্তিনিকেতন আশ্রম চত্বর ছাড়াও কলাভবনের স্থাপত্যগুলি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে চায় নি। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশ বিদেশের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র বা রাজ্যের সঙ্গে বিশ্বভারতীর সমন্বয় পরিকল্পনা নিয়েও নানা পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভাস্কর্যগুলি অযত্নে থাকায় শিল্পী এবং শিল্পবোদ্ধাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী পড়ুয়া থেকে শুরু করে আগত পর্যটকেরা সকলেই চাইছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন ভাস্কর্যগুলিকে পুনরায় সংস্কার করা হোক।
সৌভিক রায়