খবর ছড়িয়ে পড়তে এই চাঞ্চল্য ছাড়া এলাকায়। জমে মানুষের ভিড়। মানুষের উৎসুক মন ইতিহাসের সন্ধানে মূর্তিটিকে দেখতে চলে আসে। তবে এই মূর্তি কার? উঠছে প্রশ্ন ! শান্তিনাথ নাকি ঋষভনাথের? প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং ঐতিহাসিকদের এক অংশের অনুমান করা হচ্ছে মূর্তিটি সম্ভবত জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের। যিনি ২৪ তীর্থঙ্করের প্রথম তীর্থঙ্কর। দীর্ঘদিন ধরে জলের তলায় ছিল মূর্তিটি।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
লিকুইড এরোশনের ফলে মূর্তিটির “ডেফিনেশনে” কিছু ক্ষতি হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সম্পূর্ণ ভাবে বোঝা যাচ্ছে না মূর্তির চরিত্রকে। তবে অনেকের মতে তীর্থঙ্করের মাথার জটা মুকুটটি রয়েছে সুস্পষ্ট। ফলেই অনেকে অনুমান করছেন এই মূর্তিটি ঋষভনাথের। তবে বাঁকুড়ার বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এটি শান্তিনাথ-এর মূর্তি। মুম্বাই সার্কেল প্রথমে মত দেয় ঋষভনাথ । পরে সংশোধন করে।”
আরও পড়ুন: ধূপ-কাঠি জ্বালান? গন্ধ ভাল লাগে? ধোঁয়ায় মারাত্মক ক্ষতি! ডেকে আনছেন মারণ রোগ!
শান্তিনাথের পক্ষে যুক্তি হল, মূর্তির লাঞ্চনচিহ্ন ভাল করে দেখলে বোঝা যায় এটি কিন্তু ষাঁড় নয়, প্রথম যুক্তি প্রতিটি ঋষভনাথের মূর্তির লাঞ্ছন চিহ্ন ষাঁড়ের অভিমুখ বামদিক থেকে ডানদিক বরাবর থাকে এক্ষেত্রে ডানদিক থেকে বামদিক বরাবর রয়েছে , দ্বিতীয় যুক্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ষাঁড়ের মুখ তার পৃষ্ঠদেশ কে স্পর্শ করে থাকে, এক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। তৃতীয় যুক্তি, আলোচিত তীর্থঙ্কর মূর্তির লাঞ্ছন চিহ্নর কান গুলো লক্ষ্য করার মতো। একমাত্র হরিণ ছাড়া এত বড় কান ষাঁড়ের হতে পারে না। ঋষভনাথ মূর্তির জটামুকুট থাকে, মূলত এই ধরনের শিল্পকলা শুধুমাত্র বাংলা ও ওড়িশায় দেখা যায়। কিন্তু এই মূর্তিতে জটা দেখা যাচ্ছে না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী