বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন এই ধর্মীয় উৎসবে। প্রতি দুই বছর অন্তর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড়ের নন্দকিশোরপুর এলাকায় বিশেষ এক ধর্মীয় উৎসব আয়োজিত হয়। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের শেষ দিনে থাকে বাতাসা হরিলুঠের আয়োজন। এদিন প্রায় ১০০ কুইন্টাল বাতাসা হরিলুঠ করা হয়। এছাড়াও প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় বড় বড় প্রমাণ সাইজের বাতাসা। এবারে একটি বাতাসা সর্বোচ্চ ওজন প্রায় ৩৭ কেজি।
advertisement
আরও পড়ুন: শনিবার এই তিনটে জিনিস ভুলেও কিনবেন না! নয়তো শনিদেবের ক্রোধে সর্বনাশ হবে! অভাব ছাড়বে না!
জানা গিয়েছে, নন্দকিশোরপুর এলাকায় ঠাকুর মনোহর দাস গোস্বামীর মন্দিরের সামনে এই আয়োজন করা হয়। প্রতি দুই বছর অন্তর ঠাকুর শ্রী শ্রী মনোহর দাস গোস্বামীর স্মৃতিতে এখানে চৌদ্দমাদল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবারেও ছিল সেই উৎসব। বৃহস্পতিবার ছিল এবারের চৌদ্দমাদল উৎসবের শেষ দিন। এদিন প্রথা অনুসারে ঠাকুর মনোহর দাস গোস্বামীর বেদীতে বাতাসা ও পাকা কলা নিবেদন করে শুরু হয় হরিলুঠ। শুধু নন্দকিশোরপুরে নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং দূর দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ এখানে আসেন মানত পূরণের বাতাসা হরিলুঠ করার জন্য।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে থাকে নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনও। পাশাপাশি পাকা কলা, প্রমাণ সাইজের বাতাসা দেওয়া হয় ভোগ হিসেবে। এই উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে বহু মানুষের জমায়েত হয় এখানে, এটাই হয়তো দু’বছর অন্তর গ্রামের শ্রেষ্ঠ উৎসব।
রঞ্জন চন্দ