সাবেক ফরাসডাঙা চন্দননগরকে আলোর শহর বলা হয়। সেই শহরে যেমন ফরাসি আমলের সৌধ আছে, তেমনই শহরের বিবর্তনের সাক্ষী হয়ে যারা আজও বেঁচে রয়েছে সেই গাছেদের জন্য তৈরি হয়েছে পরিচয় পত্র। চন্দননগর পুরনিগমের জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটি (বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট) এই কাজ করেছে। স্থানীয় মানুষ গবেষক পড়ুয়া ও পর্যটকরা সেই কিউ আর কোড স্ক্যান করে গাছের পরিচয় জানতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় দশ দেশকে পেছনে ফেলে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে চন্দননগরের মেয়ে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড চার্চের সামনে গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে বহু প্রাচীন গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা আলাদা কিউ আর কোড। গাছের পরিচয়পত্র থেকে যে কেউ মোবাইল স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। কি প্রজাতির গাছ, কত বয়স, কি উপকারিতা আছে, কোথায় কোথায় পাওয়া যায় তার যাবতীয় তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কোরিয়ান স্ট্রিট ফুড এখন পাওয়া যাচ্ছে হুগলির কোন্নগরে! জয় জয় বলছেন খাদ্য রসিকরা
প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ২৪৯ টি গাছে পরিচয় পত্র তৈরি হয়েছে। আজ ১২ টি গাছের কিউ আর কোড আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর রানী ঘাটে ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বট গাছের কিউ আর কোডের উদ্বোধন করেন মেয়র।
গুগলের উইকিপিডিয়ার সঙ্গে কিউ আর কোড যোগ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে।সেখান থেকেই মিলবে তথ্য। চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “চন্দননগর শহরের ইতিহাস অনেক। বহু মানুষ বিদেশ থেকেও চন্দননগর শহরে আসেন। তারা এই প্রাচীন গাছগুলো দেখে অনেক সময় তাদের সম্পর্কে জানতে চান। আমরা তাই এই ব্যবস্থা করেছি। গাছের নম্বরিং যেমন থাকবে তেমনি কিউআর কোড লাগানো থাকবে। যেটা স্ক্যান করলে গাছ সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। ১২ জানুয়ারী তাই ১২ টি গাছের গায়ে কিউ আর কোডের উদ্বোধন হল। পরে বাকি গাছে হবে।”
শহরবাসী যারা চন্দননগর স্ট্যান্ডে ঘুরতে আসেন যারা তারাও খুশি। তারা বলছেন, একটা অভিনব ব্যাপার গাছ নিজেই এভাবে তার পরিচিতি দেওয়া। একটা গাছ দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে এটা কি গাছ,কতদিন ধরে এখানে আছে, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সহজেই।
রাহী হালদার





