স্বাধীনতা থেকে দীর্ঘ বেশ কয়েক দশক বংশপরম্পরায় বসবাস করছেন শতাধিক মানুষ। বর্তমানে সেই গ্রামের বাসিন্দাদের ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্ক তাড়া করছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে উচ্ছেদের নোটিস এসেছে। এতে সমস্যায় পড়েছে ৩০০-র বেশি পরিবার। শালবনী ব্লকের বাঁকিবাঁধ পঞ্চায়েতের কমলা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এখন ভিটেমাটি হারানোর ভয়। জানা গিয়েছে, নোটিস পাওয়ার ১৫দিনের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের।স্থানীয়দের দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমলা এলাকায় এয়ারপোর্ট তৈরি করেছিল ইংরেজরা। মূলত যুদ্ধের সুবিধার জন্য এয়ারপোর্টটি তৈরি করা হয়। ১৯৪২ সালে ৬ মাসের নোটিস দিয়ে ইংরেজরা জানায়, বোমা-গুলি চলতে পারে। এরফলে বিপদে পড়বে গ্রামবাসীরা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তাই অস্থায়ীভাবে তাঁদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধ মিটে গেলে গ্রামবাসীরা পরে ফের নিজেদের ভিটেতে ফিরে আসেন। বংশপরম্পরায় সেখানেই বসবাস করছে তিন শতাধিক পরিবার। ইংরেজ বিতাড়নের পর তাদের পরিত্যক্ত এয়ারপোর্টের জমিতে তৈরি হয়েছে টাকা ছাপানোর টাঁকশাল। তার এক পাশেই তৈরি হয়েছে কোবরা বাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। আরও কিছুটা দূরে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে। ধীরে ধীরে কমলা গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক সুদিন ফিরতে শুরু করেছিল।তবে এর মধ্যে ২০২২সালে এই গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কথা জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই সময় গ্রামবাসীরা প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসেও গিয়েছিলেন কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রি করছেন মা! বারাসতের মহিলার লড়াই চোখে জল আনবে!
তবে সম্প্রতি সেই গ্রামে আবারও নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাম খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষজন। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। তবে তাদের কি ছেড়ে দিতে হবে বাড়ি? এই শীতে বাড়ি হারিয়ে থাকবে কোথায়? গোটা গ্রাম কি খালি হয়ে যাবে? একাধিক প্রশ্ন ঘুরছে সকলের মধ্যে। গ্রাম জুড়ে এখন শুধু আতঙ্ক।
রঞ্জন চন্দ