অন্যদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় গতকাল নবান্ন থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে সব ব্লকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিনের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: একবার ঘুরতেই দিন কাবার, কলকাতায় তৈরি শুরু ‘বৃহত্তম’ শপিং মলের! কোথায় হচ্ছে জানেন?
সুন্দরবন উপকূলের কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার চালান হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকা গুলিতে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সুন্দরবনের বেশ কিছু মাটির নদীবাঁধে বেহাল দশা। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় বিরাট বদল! নতুন লিস্ট বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে! ভারত থেকে কী জায়গা পেল?
এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটক দের করা হচ্ছে। রাতে আরো জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দফতর। বড় কোন বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেলার সৈকত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের সমুদ্র ও নদীতে নামার ওপরেও মহকুমা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করতেপারে বলেও জানা যাচ্ছে।
—- সুমন সাহা