এদিন বাগদা বিধানসভার আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলধরপুর গ্রামে আসেন বিধায়ক। জনসংযোগ করবার সময় সাধারণ মানুষের করা নানা অভিযোগ শুনে রীতিমত বিরক্ত হন তিনি। তারপরেই বুথ স্তরের নেতৃত্বকে ধমক দেন তিনি। এই এলাকার সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকে ধমক দিয়ে বলেন, আপনি দায়িত্বে ছিলেন, হেরেছেন দায়িত্ব থেকে সরে যান। এক বাড়িতে আবাস যোজনার অভিযোগ শুনে স্থানীয় নেতা বিধায়ককে বলেন ঘরের ব্যবস্থা করে দিন। যাতে আমরা ভোট চাইতে পারি।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্না হয় বাংলাদেশে কিন্তু খেতে বসেন ভারতের মাটিতে, এ এক আজব বাড়ি
স্থানীয় ওই নেতাকে ধমক দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আবাস যোজনা ব্যবস্থা করে দিলে তো আপনি ৫ হাজার টাকা চাইবেন।” শুধু আবাস যোজনাই নয়, রাস্তা, জল নিকাশি সমস্যা সহ নানা অভিযোগ করতে থাকেন সাধারণ মানুষজন। অবশেষে স্থানীয় মানুষদের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য ময়দানে নামতে হয় খোদ বিধায়ককেই। কোথাও আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঘর করে দেওয়া হবে বলে, তো কোথাও আগামী বছরের মধ্যে রাস্তার সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
আরও পড়ুন: এয়ারপোর্টের খুব কাছেই মিলছে শালপাতায় মোড়া চিকেন পোড়া! কাবাব-তন্দুরি ছেড়ে এই রেসিপি খেতে লম্বা
এ বিষয়ে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ শুনবার জন্যই আমরা দ্বারে দ্বারে পৌঁছাচ্ছি। লোকাল স্তরের তৃণমূল নেতৃত্বদের গাফিলতি ছিল বলেই তাদেরকে বলেছি। আগামীতে বিশ্লেষণ করে দরকার হলে তাদের সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে। ধমক দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ স্থানীয় নেতা শংকর গাইনও। তার দাবি, “হ্যাঁ বিধায়ক আমাকে ধমক দিয়েছেন। দলীয় অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমাকে যদি সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে ভালো হয়, সেটা হতেই পারে।” এরপরই বিষয়টি নিয়ে “নতুন নাটক” বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এলাকাবাসীরা চাইছেন, যা কিছুই হোক বদলাক তাদের জীবনযাত্রায় বেহাল অবস্থার ছবিটা।
Rudra Narayan Roy