বাঁধাকপিও একই পথে—সাধারণ সাইজ ১৫ থেকে ২০ টাকা হলেও বড় বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি কিনতে গিয়েই পকেটের টান পড়ছে মধ্যবিত্তের।
আরও পড়ুন: ‘স্যার’ ডাক শুনতে অবসরের পরেও রোজ স্কুলে আসেন শিক্ষক! বিনা বেতনে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন, চেনেন তাঁকে?
উদ্যান পালন দফতরের দাবি, জেলায় ফুলকপি ৩৬.৪৬ হাজার মেট্রিক টন ও বাঁধাকপি ৩৪.৩৮৪ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। কিন্তু এবছর সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। অন্যান্য বছরের মতই এ বছর জেলার কৃষকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ের দফায় দফায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ। অসময়ে হওয়া আর বৃষ্টিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির গোড়ায় পচন ধরে, অনেক ক্ষেতেই গাছের বৃদ্ধি থেমে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রেই গাছ মরে যায় বা ফলন কমে যায় অর্ধেকেরও বেশি। ফলে ভরা শীতের মরসুমে বাজারে পর্যাপ্ত জোগান না পৌঁছনোর কারণে দাম বাড়ছে লাগামছাড়া।
advertisement
ব্যবসায়ীদের কথায়, পরিমাণে কম মাল আসায় পাইকারি দামে বৃদ্ধি হচ্ছে, ফলে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের আরও বেশি দাম দিতে হচ্ছে। এতে যেমন মধ্যবিত্ত পকেটে টান পড়েছে, তেমনই ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। কারণ, বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া সবজির ওই ক্ষতি তারা আর পুষিয়ে উঠতে পারছেন না। অনেক কৃষকের ক্ষেতেই দেখা গেছে—চাষের খরচ মেটান কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর বাজারে জোগানের অভাব তৈরি হওয়ায় ক্রেতা–বিক্রেতা উভয়ের ওপরই চাপ বাড়ছে। শীত কালে সবজি সস্তা হবে—এই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষ বছরের পর বছর ধরে করে এসেছে। কিন্তু এবছর সেই ধারায় বড় রকমের বদল এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।
তবে আশার খবরও রয়েছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, ক্ষতির ঝুঁকি কাটিয়ে তারা আবার নতুন করে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা লাগান শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যেই কিছু জায়গায় নতুন ফলন দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে এবং আর কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাজারে সবজির জোগান বাড়বে। জোগান বাড়লেই দামও কমবে বলে আশা করছেন কৃষক।





