প্রদীপ প্রোজ্জলন, বৈদিক মন্ত্র পাঠ, রবীন্দ্র সঙ্গীত, মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক সূচনা হয় শ্রীনিকেতনের অন্যতম উৎসব। এতে স্বভাবতই খুশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় হস্তশিল্পী ও বাসিন্দারা।শান্তিনিকেতন থেকে কিলোমিটার দু’য়েক দূরে শ্রীনিকেতনেই প্রাণ পায় রবীন্দ্রনাথের গ্রামীণ ভাবনা।বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্পের পাশাপাশি মেলার মূল আকর্ষণ কৃষিজ ফসল ও তাদের ভিন্ন ভিন্ন আকারের উপর। অদ্ভুত আকারের বিভিন্ন কৃষিজ ফসল দেখতে ভিড় জমান দূর দূরান্তের বহু পর্যটক।
advertisement
মেলায় হস্তশিল্পীরা বানাচ্ছেন মাটির হাঁড়িকুড়ি, ফুলদানি, বাঁশ, তালপাতা-সহ খেজুর পাতার সামগ্রী। প্রদর্শনীতে কোথাও ৩ কেজি আকারের মুলো, গাজর তো কোথাও আবার প্রায় ১২ ফুট লম্বা আখ।বিশাল আকৃতির সর্ষে গাছের ঝাড়। স্থান পেয়েছে পালংশাক, সূর্যমুখী, আমআদাও। তার সঙ্গে বিভিন্ন ফুলের বাহার। শান্তিনিকেতন সূত্রে খবর ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৮০ টি স্টল বসেছে মেলা প্রাঙ্গণে।লোকসঙ্গীত, সুফি ও বাউল গানের আসর রয়েছে।রয়েছে গ্রামীণ কবি ও সাহিত্যিক সম্মেলন।
শ্রীনিকেতনের কর্মী সংঘের সম্পাদক গৌতম সাহা বলেন, “যে আদর্শ নিয়ে এক সময় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এবছরও মেলায় সেই ঐতিহ্য, রীতি বজায় রাখা হয়েছে।” মূলত শান্তিনিকেতন এবং শ্রীনিকেতনের সুরুল মূলডাঙ্গা প্রভৃতি এলাকার হস্তশিল্পীরা এই মেলায় নিজেদের পসরা সাজিয়েছেন। প্রায় ১২ ফুট লম্বা আখ গাছ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। তাই এই সময় যদি আপনিও বোলপুর শান্তিনিকেতন আসেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে দেখুন এই মেলা।