স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা- আক্রান্ত ২,৩২৬ জন। এরপরই রয়েছে মুর্শিদাবাদ, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩০৪। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে হুগলি ও কলকাতা- দুই জেলাতেই সংক্রমণ পেরিয়েছে হাজারের ঘর। মালদায় আক্রান্ত প্রায় হাজারের কোঠায়, আর হাওড়ায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই ছয় জেলাতেই সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৮,৭০০ জনেরও বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হার্টের অসুখ! হৃদরোগ ঠেকাতে চিকিৎসক দেবী শেঠির জরুরি পরামর্শ জানুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুজোর মরশুমে খোলা মণ্ডপ, জমে থাকা জল, এবং নিয়মিত সাফাইয়ের অভাবই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ। অক্টোবর মাসে টানা বৃষ্টি, তার পর শুকনো দিন, আবার বৃষ্টি – এই চক্রাকার আবহাওয়া এডিস ইজিপ্টাই মশার প্রজননের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করেছে। জমা জল কয়েকদিন থাকলেই মশার লার্ভা বেড়ে ওঠে।
এ বছর সেই পরিস্থিতি বারবার তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় নজরদারিতে কিছুটা ঢিলেমি এসেছে। তার ফলেই অক্টোবরে সংক্রমণ বেড়েছে। তবে, যদি নতুন করে আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে সংক্রমণ কিছুটা কমবে বলেই আশা করছে স্বাস্থ্য ভবন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালাতে। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে না নামা পর্যন্ত মশার প্রজনন চলতে পারে, তাই পরিত্যক্ত জমি, বাজার এলাকা ও আবর্জনার স্তূপে নিয়মিত সাফাই ও নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে জেলা পরিদর্শকের নেতৃত্বে নিয়মিত তদারকি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন এক প্রশাসনিক কর্তা। বিষয়টি নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। কোথাও পরিকাঠামোগত ঘাটতি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।






