কলকাতা: জাপানের ঐতিহ্যপূর্ণ ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ‘সাম্মানিক ডি.লিট.’ উপাধি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘জাপান ও ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক ধন্যবাদ। জাপান সংস্কৃতির দিক থেকে, মানবিকতার দিক থেকে সব সময় আমাদের পাশে। এটা একটা অত্যন্ত পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের এক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করছে দেখে ভাল লাগল। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে। শিল্প সম্মেলনে প্রথম থেকেই জাপান আমাদের সহযোগী। আমাদের জাপানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিশ্চিত সময় করে আমরা যাব। আপনারা অনেক এনারজেটিক। নভেম্বরেই সেই কারণে এই প্রোগ্রাম করে ফেললেন। আপনাদের ভালবাসা আমি ফেলতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: বিনা টিকিটে লোকাল ট্রেনে যাত্রা মহিলার, ভয়ে ভাঙল পা! কী কাণ্ড দেখুন
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের এই সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এটা আমাদের হৃদয়ের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধিকবার জাপান গিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দ গিয়েছিলেন। রাসবিহারী বোস গিয়েছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস গিয়েছেন একাধিকবার। যদিও নেতাজির মৃত্যুদিন নিয়ে বিতর্ক আছে। তাঁর জন্মদিন আমরা জানি। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক আছে। জাপানের একাধিক সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিলিকন ভ্যালিতে তারা বিনিয়োগ করবে। এছাড়া একাধিক সংস্থার সঙ্গে তাদের সংযোগ আছে কাজ করার।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা প্রচণ্ড স্বাস্থ্য সচেতন। আপনাদের প্রকৃতি দারুণ। তবে কিছু দুঃখের কাহিনি আছে যুদ্ধকে ঘিরে। হতে পারে আমরা দুটো আলাদা দেশ। কিন্তু রক্ত ও হৃদয় আমাদের এক। আগামী বছর আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যাব। কথা দিলাম আমি আগামী বছর যাব। আমি জানি অনেকে আমার এটা পছন্দ করবেন না। কিন্তু জেনে রাখুন আমি মুখ্যমন্ত্রী। আমি সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছি ও করব। আমি VIP নয়, আমি চিরদিন LIP হয়ে থেকেছি। আমি সকলের জন্যে কাজ করেছি ও করে যাব। আমি জীবনের শেষ দিন অবধি সাধারণ হয়ে বাঁচতে চাই। আমি গর্বিত, আমি বাংলায় জন্মেছি।’
আবীর ঘোষাল