Money Making Tips: লাভজনক চাষে মেদিনীপুরে রোল মডেল অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী! করছেন ক্যাকটাস জাতীয় প্রজাতির ফলের চাষ, আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন বেকারদেরও

Last Updated:

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এখন ড্রাগন ফল বেশ লাভজনক। স্বাভাবিকভাবে চাকরি কিংবা অন্যান্য কাজের পিছনে না ছুটে বাড়িতে পড়ে থাকা সামান্য জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ রোজগার দেবে বেকার যুবক-যুবতীদের।

+
ড্রাগন

ড্রাগন চাষে মেদিনীপুরে রোল মডেল অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী

ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: এবার জঙ্গলমহলে ফলছে উপকারী ফল। আর এই ফল চাষে ব্যাপক লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী। কীভাবে জঙ্গলমহলের মাটিতে ফলাচ্ছেন এই ফল? কত টাকা বা লাভ? আদৌ কী লাভজনক এই চাষ? বর্তমান যুব প্রজন্মের কাছে রোল মডেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী। ইতিমধ্যেই বাড়ির বেশ কয়েক বিঘা জমিতে ক্যাকটাস জাতীয় ফলের চাষ করে নিজে যেমন এক আয়ের দিশা দেখেছেন তেমনই বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। অনান্য কাজের পাশাপাশি এই চাষ করে বাড়তি রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন তিনি। জঙ্গলমহল মেদিনীপুরের উর্বর মাটিতে ফলাচ্ছেন এই বিশেষ উপকারী ফল।
বর্তমান বাজারে চাহিদা বেশ। বিভিন্ন জায়গায় বেশ ভাল দামে বিকোচ্ছে ড্রাগন ফল। এই বিশেষ চাষে নজির, বেকার যুবসমাজের জন্য রোল মডেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী স্বপন ভুঁইয়া। চাকরি জীবনের পরে তিনি বাড়িতেই শুরু করেছেন এই চাষ। জঙ্গলমহলের এই মাটিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফলিয়েছেন ড্রাগন। ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুরের মাঠে এখন নতুন আশার আলো—ড্রাগন ফল চাষ। তথাকথিত ফসলের বাইরে বেরিয়ে এসে এক অভিনব কৃষি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এলাকার বাসিন্দা স্বপন ভুঁইয়া।
advertisement
advertisement
নিজের চেষ্টাতেই তিনি গড়ে তুলেছেন ড্রাগন ফলের বাগান, যা বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাচ্ছে। বর্তমানে ব্যবসায়িকভিত্তিক তিনি বেশ কয়েকটি প্রজাতির চাষ করেছেন। এক বিঘা জমি তৈরি করে, প্রয়োজন মতো সার ওষুধ ব্যবহার করে গাছ লাগিয়ে ফসল ফলানো পর্যন্ত মোট খরচ হয় প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। মাত্র সাত মাস পর থেকেই পাওয়া যায় ফলন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্রি হয় ড্রাগন ফ্রুট।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোগপতি স্বপন বাবু জানাচ্ছেন, প্রথমে মাটি তৈরি করে, খুঁটি পুঁতে সামান্য জৈব সার দিয়ে লাগাতে হয় এই গাছ। সামান্য জল প্রয়োজন হয় এবং তেমন কোনও পরিচর্যা নেই এই চাষে। বাড়তি জলের ব্যবহার না করা এবং পচন ও পোকামাকড় থেকে গাছ রক্ষা করলে অনায়াসে মাত্র সাত মাসে বেশ ফলন পাওয়া যায়। এক বিঘা জমি থেকে প্রতিবারে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হতে পারে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এখন ড্রাগন ফল বেশ লাভজনক। স্বাভাবিকভাবে চাকরি কিংবা অন্যান্য কাজের পিছনে না ছুটে বাড়িতে পড়ে থাকা সামান্য জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ রোজগারের পথ দেখাবে বেকার যুবক-যুবতীদের। বেকার যুব সমাজের কাছে এই চাষ হতে পারে আয়ের একটি নতুন পথ। কৃষি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এটি কম খরচে লাভজনক ফসল হিসেবে ধরা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী কৃষি ক্ষেত্রে এক রোল মডেল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Tips: লাভজনক চাষে মেদিনীপুরে রোল মডেল অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী! করছেন ক্যাকটাস জাতীয় প্রজাতির ফলের চাষ, আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন বেকারদেরও
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement