এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি রতনাবলী শবর জানান, সারা বছরই তাঁরা এই সমস্ত হস্তশিল্পের সামগ্রী বানিয়ে থাকেন। তারপর সেই সমস্ত সামগ্রী বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। ৮৫ জন শবর পুরুষ ও মহিলা মিলে এই কাজ করছেন। যথেষ্ট ভাল সাড়া পাচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতির ডাইরেক্টর প্রশান্ত রক্ষিত জানান, এই হস্তশিল্পকে বাণিজ্যিকীকরণের সমস্ত ব্যবস্থা তারা করছেন। আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সকলেই এই হস্তশিল্পকে পছন্দ করছে।
এ বিষয়ে সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত রাহা বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় শবর জনজাতির মানুষজন এই হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ইউনিভার্সিটি তাদের সমস্ত দিক থেকে সহযোগিতা করছে। তবে কোনও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট যদি কোনও মেশিন তৈরি করে তাহলে শবর শ্রেণীর মানুষদের এই কাজ করা আরও সহজ হবে।’
এই হস্তশিল্পের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। অনলাইনের মাধ্যমেও এই হস্তশিল্পের বাণিজ্যিক প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চালান হচ্ছে। শবর সম্প্রদায়ের মানুষজন এই হস্তশিল্পের মধ্যে দিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।





