ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ইউটিউব ও ফেসবুকে সক্রিয় ভ্লগার সৃজিত রিয়া স্টোরি নামের পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি বন্ধ দোকান, এবং তার ক্যাপশন ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। দর্শকদের মধ্যে ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে সেটিই নাকি ভাইরাল পোলাও দিদির দোকান, যা এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জ্যোতি অধিকারী।
advertisement
তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে তার দোকান বন্ধ দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আসলে আগের দোকানের এগ্রিমেন্ট শেষ হয়েছে বলেই সেটি বন্ধ করেছি। এতে তার সম্মানহানি হচ্ছে, ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেন। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার তিনি হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের কপি হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ভ্লগার সৃজিত চন্দ্র দাবি করেছেন, তার ভিডিওতে কোথাও জ্যোতি দির নাম উল্লেখ করা হয়নি। কাউকে টার্গেট করেও করেননি ওই ভিডিও। নাম না বললে অভিযোগ করা যায়- এটা তিনি জানতেন না। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আরও পড়ুন-নভেম্বরেই ‘লটারি’, গজকেশরী রাজযোগে মিথুন-সহ ৫ রাশির সোনায় সোহাগা, ধন-সম্পদের ফোয়ারা, লাগবে জ্যাকপট
নেট নাগরিকরা কেউ বলছেন, যে ভ্লগারদের ভিডিও থেকেই ভাইরাল হয়েছিলেন জ্যোতি দি, এখন সেই ভ্লগারদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন! আবার অনেকে মনে করছেন, ভাইরাল হলেও সম্মান রক্ষার অধিকার সকলেরই আছে। কারোর মতে, এখন ভ্লগাররাও তাহলে নীতি পুলিশের কাজ করছেন! হাবরার ভাইরাল পোলাও থেকে শুরু করে এখন আলোচনার কেন্দ্রে তাই অভিযোগ বনাম প্রচার – জ্যোতি অধিকারী ও সৃজিত চন্দ্রের এই দ্বন্দ্ব এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ডিং ইস্যু।