দিঘার অর্জুনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি ক্লাসরুমকে স্মার্ট ক্লাসরুমে পরিণত করার উদ্যোগ নেন এই বন্ধুরা। তাদের লক্ষ্য ছিল গ্রামের স্কুলের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক শিক্ষার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। হঠাৎ করেই বিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হয় কলকাতার নাকতলা হাই স্কুলের ১৯৯৬ সালের মাধ্যমিকের ব্যাচের একদল বন্ধু। দীর্ঘ ৩০ বছরের বন্ধুত্বের টানে একজোট হওয়া এই দলটি জানান, “আমরা শুধু বন্ধু হিসেবেই একত্রিত হইনি—সমাজের কাজে কিছু করার ইচ্ছে থেকেই এখানে এসেছি।” তাদের মধ্যে এক বন্ধু ড. দেবমাল্য মাইতি বলেন, “বিদ্যালয়ের অবকাঠাম উন্নত করতে আমাদের ছোট্ট উদ্যোগ যদি শিশুদের ভবিষ্যতে সামান্য হলেও সহায়ক হয়, তবে সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ১ একরে ৫ কুইন্টাল মাছ, সঠিক চাষে হতে পারে অঢেল লাভ! রাজ্যকে পথ দেখাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর
শুধু স্মার্ট টিভি নয়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রজেক্টর, কম্পিউটার। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবকে সাজিয়ে তুলেছে নতুন রূপে। শিশুদের প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় উৎসাহী করে তুলতে তৈরি হয়েছে সহজ-ব্যবহারযোগ্য ল্যাব। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকেও নানা বিষয়ের অসংখ্য বই দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন তারা, যাতে শিশুরা গল্প, বিজ্ঞান, ইতিহাস কিংবা জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা তথ্য থেকে নিজেদের কৌতূহল মেটাতে পারে। অত্যন্ত গ্রামের পূর্ব মেদিনীপুরের এই বিদ্যালয়টি যে এভাবে বদলে যাবে ভাবতে পারেন নি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন খেলাধুলার সরঞ্জামও। তাদের কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক, কেউ কর্পোরেট চাকুরিজীবী—নানা পেশার এই বন্ধুরা প্রতি মাসে নিজেদের রোজগারের কিছু অংশ জমিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। আর এবার বন্ধুত্বের ৩০ বছর পূরণ উপলক্ষে তাদের এই জমান অর্থ দিয়েই, দিঘায় বেড়াতে আসার পরিবর্তে দিঘার একটি ছোট্ট বিদ্যালয়কে তারা সাজিয়ে তুলল আধুনিক বিদ্যালয় হিসেবে।





