বর্তমান সময়ে জেলার প্রায় সর্বত্র মাছ চাষ শুরু হয়েছে। মাছ চাষের পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাদা মাছের চাষ। জেলায় রুই, মৃগেল, কাতলা-সহ সব ধরণের মাছ চাষ করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই মাছ চাষ, অন্ধ্রপ্রদেশের মাছের উপর নির্ভরতা হ্রাস করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাছ চাষের সবথেকে উন্নত ক্ষেত্রে ময়না। ময়নার মাছ চাষের মডেল ছাড়া রাজ্যের কাছে সমাদৃত। বর্তমানে শুধু ময়না ব্লকে নয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্রই এই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মাছ নির্ভর অর্থনীতি বর্তমানে অনেকটাই এগিয়ে। কারণ এক সময়ে এই জেলায় মূল অর্থকারী ফসল ছিল ধান ও পান। বর্তমানে মাছ সেই অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করেছে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উৎপন্ন মাছ পশ্চিমবঙ্গের সারা রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন বাজারের যাওয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় রফতানি করা হচ্ছে এবং এই মাছ চাষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি সমান্তরাল অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎস্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এক একর জায়গায় চার থেকে পাঁচ টন মাছ উৎপন্ন হয়। যা মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, ”মৎস্য চাষি ও মৎস্যজীবীরা, এক মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত। দ্বিতীয়ত মাছ আরোহণ সহ অন্যান্য কর্ম সংস্থানের যুক্ত। বিশেষ করে সাদা মাছ চাষের ক্ষেত্রে জেলায় এক সমান্তরাল অর্থনীতি গড়ে উঠেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাছ চাষ শুধু নয়, মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত আনুষাঙ্গিক কাজে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যেমন মাছ ধরা, মাছ আরোহণ, মাছ চাষের খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবকেরা মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একসময় ধান ও পান চাষ করা হত। এই দুটোই চাষ ছিল জেলার অর্থনীতির মূল পিলার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নোনা জলে চিংড়ি-সহ একাধিক নোনা জলের মাছ চাষের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য জায়গায় মিষ্টি জলে সাদামাছের চাষ শুরু হয়েছে। আর তাতেই জেলার অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হয়েছে।





