ছোট থেকেই ছবি আঁকার প্রতি বাড়তি ঝোঁক। বর্তমানে মাইক্রো আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। চাল, নুড়ি, পাথর ও ট্যাবলেটে অনায়াস দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলে তার শিল্পকর্ম। টাকার অভাবে উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা হয়নি। ছবি আঁকার মাধ্যমেই সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে জেলার এক যুবক। নন্দকুমার ব্লকের কোলসর গ্রামের পঞ্চানন ভূঁইয়া। ছোটবেলা থেকেই ছবি আকার ঝোঁক থাকলেও সেভাবে ছবি আঁকা শেখেনি। কিন্তু বর্তমানে তিনি মাইক্রো আর্টিস্ট হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্যানভাস না! ট্যাবলেট, চাল, নুড়ি-পাথরে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্প প্রতিভা।
advertisement
স্বামী বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ থেকে মা সারদা বিভিন্ন মনীষীদের প্রতিকৃতি ফুটে উঠেছে চাল, নুড়ি, পাথরে। বর্তমানে এই মাইক্রো আর্টিস্ট হিসাবে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তবে ২৫ বৈশাখ উপলক্ষে কবিগুরুর শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বাড়ির ছাদে ২০ বাই ২০ ফুটের একটি বিশাল প্রতিকৃতি আঁকলেন। আর তা দেখতে এলাকাবাসী সকাল-সন্ধ্যা ভিড় করছে পঞ্চাননের বাড়িতে। তাঁর কথায়, “ছোট বয়স থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল। উচ্চমাধ্যমিকের পর আর্থিক কারণে পড়াশোনা আর এগোয়নি। তখন আবার নতুন করে ছবি আঁকার প্রতি আকৃষ্ট হই। বর্তমানে এই ছবি আঁকা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে। কবিগুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বাড়ির ছাদে ২০ বাই ২০ ফুটের ছবি এঁকেছি রঙ তুলি দিয়ে। পাড়া প্রতিবেশিরা সকাল সন্ধ্যা দেখতে আসছেন। দু’দিনের পরিশ্রমে এই ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাইক্রো আর্টিস্ট, মূলত এই ধরনের শিল্পীরা বড় ক্যানভাস নয়, তাদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলে ছোট ছোট নুড়ি, পাথর, চাল, ধান, চক ও চিকিৎসার জন্য খাওয়া ট্যাবলেট ওষুধে। করোনাকালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। টাকা পয়সার অভাবে আর কলেজে ভর্তি হওয়া হয় না। মন পড়েছিল ছবি আঁকায়। ফলে ছোটবেলায় নিজের ছবি আঁকার ঝোঁককে নতুন করে আঁকড়ে ধরে। তবে তিনি ক্যানভাসে ছবি আঁকা থেকে সরে এসে শুরু করেন চাল বোতলের ছিপি নানা ধরনের ছোট ছোট জিনিসপত্রে ছবি আঁকা। চাল, ডাল, বোতলের ছিপি তার শিল্প প্রতিভা ফুটিয়ে তোলার মাধ্যম। তবে এবার বাড়ির ছাদকেই বেছে নিল কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে।
সৈকত শী





