ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মমুখী শিল্পের উৎসাহিত করতে এবং স্কুলমুখী করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বর্ধমানের আর পাঁচটা স্কুলের মতোই একই স্রোতে গা না ভাসিয়ে একটু ভিন্নভাবে নিজেদের উপস্থাপিত করছে এই স্কুল। স্কুলে প্রবেশ করলেই স্কুলের প্রতিটি কোনায় কোনায় যেমন দেখতে পাওয়া যায় সৃজনশীলতার ছোঁয়া ঠিক সেইরকমই ছাত্রছাত্রীদের আচার ব্যবহারেও মেলে শোভনতা ছোঁয়া। ছোট থেকেই তাদের মধ্যে কর্মমুখী শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রতিনিয়ত সচেষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ‘অশনি’…! এখনই উঠবে বিরাট ঝড়-তুফান! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি
এখানে পুঁথিগত শিক্ষার সাথে কর্মমুখী শিক্ষার একটি মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। ফলস্বরূপ পড়াশোনা খেলাধুলার সঙ্গে হাতের কাজে রীতিমতো তাক লাগাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের বেলপুকুর জে.এস.এফ.পি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি সেই শিল্পকর্মেই সমৃদ্ধ হচ্ছে স্কুলের সংগ্রহশালা। যে সংগ্রহশালা স্কুলে আগত অতিথিবর্গ, অভিভাবক ও স্থানীয়দের জন্য খুলে রাখেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শুধু তাই নয় এই সংগ্রহশালা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি শিল্পকর্ম নিজেদের পছন্দমত ক্রয় করতে পারেন আগতরা। যার ফলে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মমুখর শিল্পে আগ্রহ বাড়ে ঠিক তেমনি শিল্পকর্ম থেকে প্রাপ্ত অর্থে তারা নিজেদের পছন্দমত পঠনপাঠন সামগ্রীও কিনতে পারে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যে হতেই পড়ছে লম্বা লাইন, সংসারে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য যা করছেন মহিলারা…,আপনিও কি করছেন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রতকুমার দাস জানান, ওয়ার্কশপ ও মূল্যায়নের সময় পড়ুয়ারা যেসব হাতের কাজগুলো তৈরি করুন যেগুলি অনেক সময় ভালো মানের কুটির শিল্প হতে পারে। সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় পড়ে নষ্ট হচ্ছিল বা বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকেই মিউজিয়াম তৈরির ভাবনা এতে একদিকে যেমন দেখতে ভালো লাগবে তেমনি বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নত হবে। পাশাপাশি আগামী দিনে তারা আরও আগ্রহী হবে। প্রতিবছর বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের বিদ্যালয়ের একটি মেলার আয়োজন করা হয় সেখানেও বেশ কিছু জিনিস বাজারজাত করা হয়।বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকা নিবেদিতা মন্ডল বলেন,অনেক সময় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পড়ুয়ার হাতের কাজ তৈরি করতে হয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়।তাই সেগুলিকে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য বিদ্যালয়ের মধ্যে সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। আবার পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলেই সপ্তাহে একদিন করে হাতের কাজও শেখানো হয় যেখানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে পড়ুয়ারা। সেইসব কাজগুলিও সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করা হলে পুরনো কাজগুলি পড়ুয়াদের যার যেটি পছন্দ দিয়ে দেওয়া হয়।
তবে শুধু স্কুলের সংগ্রহশালা নয় পরবর্তীতে এই হাতের কাজগুলি বিভিন্ন মেলায় পড়ুয়াদের নিয়ে স্টল করে বাজারজাত করারও পরিকল্পনা রয়েছে স্কুলের। সমাজে বিভিন্ন রকমের প্রতিভা লুকিয়ে আছে পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও তাই এই সংগ্রহশালা আরও বৃহত্তরভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।