পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে বজবজ পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম রসুল রোডের বাসিন্দা স্বাগতা খাতুন (২৫) এর সঙ্গে এলাকারই ছেলে নাবিল জামিলের (২৮) বিয়ে হয়।
প্রেমের সম্পর্ক থেকে এই বিয়ে হলেও, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। মাঝেমধ্যেই সেই অশান্তি চরমে উঠত বলে খবর। আর এই অশান্তির জেরেই স্বাগতা তাঁর নিজের বাড়িতে এসে থাকা শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সরকারের কারা সাহায্য করছেন শুভেন্দুকে? জনসভায় ফাঁস করলেন বিরোধী দলনেতা
স্বাগতার বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সেই জন্যই বাড়ির সব কিছু দেখাশোনা করেন তার কাকা মোহাম্মদ আশফাক আলম। স্বভাবতই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ মেটানোর জন্য নাবিল জামিলের কাছে বিষয়টি জানতে চান তিনি।
অভিযোগ, সেই সময় নাবিলের পরিবারের লোকেরা আশফাক আলমকে বেধড়ক মারধর করে। এর পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- লা জবাব, মাত্র ২০০ টাকা প্রতি প্লেট হিসেবে মিলছে ক্যাটারিং পরিষেবা, খুশি সকলেই
এদিকে মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই স্বাগতার পরিবারের লোকেরা প্রতিবেশী নাবিলের বাড়িতে চড়াও হয়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বর্তমানে বজবজ থানার পুলিশ পৌঁছেছে। ঘটনায় ৩ জনকে আটকও করা হয়েছে বলে খবর। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনা ঘটায় থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে সমগ্র এলাকায়।
নবাব মল্লিক