অন্যান্য সাধারণ গ্রামের মত কেশিয়াড়ির এক গ্রাম গগণেশ্বর। এখানে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস কুরুমবেড়া ।বিশাল এই দুর্গের চারিদিকে সু-উচ্চ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভিতরে যাওয়ার একমাত্র পথ। ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে, রয়েছে তিনটি গম্বুজ। বাইরে কারুকার্য না থাকলেও ভেতরে দালান, কারুকার্য মন্দির দেওয়াল। সবই পাথরের তৈরি।
আরও পড়ুন:
advertisement
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৪২৯-১৪৩৪ এবং অন্যমতে ১৪৩৫-৭০ সালের মধ্যে ওড়িশার রাজা কপিলেশ্বরদেবের আমলে দশ ফুট উচ্চ দেওয়াল, তিন ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ও অভ্যন্তরে আট ফুট প্রশস্ত খিলান যুক্ত প্রকোষ্ঠ বেষ্টিত এই সেনানিবাস বা দুর্গ নির্মিত হয়। দুর্গের ভেতর একটি গগনেশ্বর নামের শিব মন্দির, সুগভীর কূপ ছিল। গবেষক ও আইনজীবী রাধানাথ পতির লেখা ‘কেশিয়াড়ি’ গ্রন্থ থেকে জানা যায় ‘এই প্রাঙ্গণের পূর্বাংশে একটি দেব মন্দিরের ভগ্নাবশেষ ও পশ্চিমে তিনটি প্রকান্ড বৃত্তাকার গম্বুজ ও চারিদিকে খিলান যুক্ত দ্বার-সহ একটি মসজিদ এখনও প্রায় অভঙ্গ অবস্থায় আছে।’ কপিলেশ্বরদেবের সময়ে তৈরি দুর্গের ভেতর মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে মহম্মদ তাহির এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৬৯১ সালে সেনানিবাস পরিণত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কালো হলুদে জটিল রোগ মুক্তি! কীভাবে ব্যবহার করবেন? জানুন চিকিৎসকের মত
গবেষকদের মধ্যে নানান মতের অমিল থাকলেও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন সাক্ষ্য বয়ে নিয়ে চলে প্রাচীন এই নির্দশনটি। প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে ভিড় জমান। সকাল থেকে বিকেল মানুষ কর্মব্যস্ততার সপ্তাহের পর একটু সময় কাটান। বর্তমানে এটি Archaeological Survey of India এর পরিচর্যা করেন। তবে কাজের শেষে সময় নিয়ে ঘুরে দেখুন ইতিহাসের এই প্রমাণ টিকে।
Ranjan Chanda