TRENDING:

নিছক খেলনা নয়, এক জীবন্ত শিল্প! ২২ খণ্ডে লুকিয়ে আছে 'তালপাতার সেপাই'য়ের অদ্ভুত রহস্য, যোগ আছে ঠাকুরবাড়ির

Last Updated:

Traditional Toys : তালপাতার সেপাই নিছকই একটি খেলনা নয়, বরং একটি শিল্প। যদিও হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প। কিন্তু এখানে গেলে এখনও পাবেন। দেখতে পাবেন তৈরির পদ্ধতি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম, সৌভিক রায় : তালপাতার সেপাই নিছকই একটি খেলনা, সেটা মোটেও না। এটি এক ঐতিহ্যবাহী শিল্প। আর কার্যত হারিয়ে যেতে বসা এই খেলনা শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন শান্তিনিকেতনের অদূরে রায়পুরে গ্রামের শিল্পী গৌরাঙ্গ দাস৷ বর্তমানে মূলত অত্যাধুনিক মোবাইল, ভিডিও গেমের যুগেও বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মেলায় তালপাতার সেপাই দেখলেই চোখ যায় শিশুদের৷ এছাড়া, ঘর সাজানোর সামগ্রী হিসাবেও ব্যবহৃত হয় প্রাচীন এই খেলনাটি৷
advertisement

এটি একটি প্রাচীন এবং পুরনো খেলনা৷ শুকনো তালপাতা দিয়ে তৈরি। একদিকে পুরুষ ও একদিকে মহিলার অবয়ব। মেম ও সাহেব বলেও অবিহিত। বিশেষ করে পাড়া-গ্রামে শিশুদের কাছে চিত্তাকর্ষক এই খেলনা৷ তবে এটিকে নিছক একটা খেলনা বলা যায় না৷ এটি এক অনন্য শিল্প৷ তালপাতার সেপাই হল এক স্মৃতিকথা, এক উপন্যাস, এক সাহিত্য৷ যা ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়৷ একসময়, গ্রামের মেলাগুলিতে, অথবা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরেও ফেরিওয়ালারা বিক্রি করতেন তালপাতার সেপাই।

advertisement

আরও পড়ুন : নেটওয়ার্ক ছেড়ে প্রকৃতির কোলে ফেরা! নেটদুনিয়ার মাঝেও জগৎটাকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ

শপিং মল, খেলনা হাউস প্রভৃতি অত্যাধুনিক খেলনার ছড়াছড়ি। ফলে হারিয়ে যাওয়া হারিয়ে যেতে বসা খেলনাগুলি থেকে দূরত্ব বাড়ছে শিশুদের৷ সেই জায়গায় তালপাতার সেপাই আজও প্রাসঙ্গিক। অজয় নদের তীরে বর্ধিঞ্চু রায়পুর গ্রাম৷ একদা এই গ্রামের সিংহ পরিবারের কাছ থেকেই জমি পেয়েছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ সেই জমিতেই গড়ে উঠেছে শান্তিনিকেতন। যা আজ ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’। এই গ্রামের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দাস আজও এই ঐতিহ্যবাহী খেলনা শিল্পকে ধরে রেখেছেন৷ তাঁর হাত ধরে অনেকেই শিখেছেন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাটির রঙিন খেলনায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার, চাহিদা তুঙ্গে! দাম কত জানেন?
আরও দেখুন

কাঁচা তালপাতা প্রথমে কিছুটা শুকিয়ে নিতে হয়৷ সেই শুকনো তালপাতা জলে ভিজিয়ে কাঁচি দিয়ে মানব দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ন্যায় কাটতে হয়৷  শিল্পী গৌরাঙ্গ দাস জানান, তালপাতার সেপাই হল ২২ টি খণ্ডে বিভক্ত, ১৪ টি সেলাই ও ২৮ টি গিট থাকে৷ ১ কাঠির ওপর একদিকে পুরুষ ও একদিকে মহিলার মুখ রঙ দিয়ে আঁকা হয়।কাঁঠিটি হাত দিয়ে ঘোরালেই হাত-পা নাড়িয়ে মানুষের অবয়ব গুলি নড়াচড়া করে৷ যা দেখতে অনবদ্য৷ আর খেলনা শিশুমনকে আকৃষ্ট করে৷ একটি তালপাতার সেপাই বানাতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট লাগে৷ তবে একসঙ্গে অনেকগুলি ভাগে কাজ হলে সময় কিছুটা বাঁচে৷ একটি তালপাতার সেপাইয়ের দাম ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নিছক খেলনা নয়, এক জীবন্ত শিল্প! ২২ খণ্ডে লুকিয়ে আছে 'তালপাতার সেপাই'য়ের অদ্ভুত রহস্য, যোগ আছে ঠাকুরবাড়ির
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল