TRENDING:

Traditional Durga Puja : পুজো তো নয়, যেন ভোজবাড়ি! গ্রামবাসীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগ, এখানে যজ্ঞ না দেখলে বড় মিস

Last Updated:

Traditional Durga Puja : বারানীধি গ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো। আতশকাঁচে সূর্যের রশ্মি ফেলে জ্বালান হয় যজ্ঞের আগুন। দর্শনার্থীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগের আয়োজন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি : চারশো বছরেরও বেশি পুরনো দুর্গাপুজো। আজও টিকে আছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার বারানীধি গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে। মারাঠা আমলে বাড়ির আদি পুরুষ ফতে সিং চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। একসময় পুজোর কয়েকটা দিন গমগম করত জমিদার বাড়ি চত্বর। ভিড় জমাতেন আশপাশের মানুষ। তবে আজ আর নেই সেই জমিদারির জৌলুস। কিন্তু ঐতিহ্যের আলো এখনও উজ্জ্বল। এখানকার মূল আকর্ষণ, হোমযজ্ঞে অগ্নি প্রজ্জ্বলন। এখনকার দিনেও দেশলাই বা লাইটার নয়, আতশকাঁচে সূর্যের রশ্মি ফেলে জ্বালান হয় পবিত্র আগুন।
advertisement

দর্শনার্থীদের জন্য এখনও রাখা হয় ৫২ ভোগ, যা এই বাড়ির দুর্গোৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তখন আশেপাশে আর কোনও দুর্গোৎসব ছিল না, তাই তিনি নিজের জমিদার বাড়িতেই দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। সেই থেকে এই পুজোর ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। একসময় পুজোর কয়েকটি দিন পুরো জমিদার বাড়ি চত্বরে জমে উঠত উৎসব। গ্রাম-শহরের অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাতেন প্রতিমা দর্শন, হোমযজ্ঞ উপভোগ এবং ভোগ সেবনের জন্য। সেই সময় পুজোর প্রতিটি মুহূর্তে ছিল এক রাজকীয় জৌলুস, যা আজও স্মৃতিতে জীবন্ত।

advertisement

আরও পড়ুন : মানুষকে নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ শুরু করেছে বৃষ্টি! দ্বিতীয়াতেই অবস্থা খারাপ হাওড়ার! পুজোর পাকা ধানে মই

যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে জমিদারি। আজ আর নেই রাজকীয় জৌলুস, তবুও ঐতিহ্যের আলো এখনও নিভে যায়নি। বর্তমান প্রজন্মের চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা মিলে পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে হোমযজ্ঞ, ভোগের আয়োজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসবই তারা নিজেরাই সামলান। তাদের এই একাত্ম প্রচেষ্টা দুর্গোৎসবকে আজও প্রাণবন্ত রাখে এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : ‘মারকাটারি ব্যাটিং’, পুজো নষ্ট করার খেলায় মেতেছে বৃষ্টি! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে মঞ্চ জলের তলায়

এই বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল দর্শনার্থীদের জন্য ৫২ ভোগের আয়োজন। ভোগের তালিকায় থাকে ছানাবড়া, পনির, পোলাও, কুমড়ো, পিঠে, পটলের দোরমা এবং আরও নানান ঐতিহ্যবাহী পদ। পুজোর ক’টা দিন দর্শনার্থী ও স্থানীয় মানুষ ভোগের স্বাদ নিতে হাজির হন জমিদার বাড়ির অন্দরে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেখতে হুবহু...! মেদিনীপুরের নতুন আকর্ষণ 'এই' ব্রিজ, দেখেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা
আরও দেখুন

চারশো বছরের পুরোনো এই দুর্গোৎসব আজ কেবল একটি পরিবারের নয়, বরং সমগ্র এলাকার মানুষের আবেগ, ভক্তি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। সময় বদলেছে, জৌলুস ম্লান হয়েছে, কিন্তু ঐতিহ্য আজও জীবন্ত। এগরার বারানীধি গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুজো তারই এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অঞ্চলের সংস্কৃতিকে আলোকিত করে রেখেছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja : পুজো তো নয়, যেন ভোজবাড়ি! গ্রামবাসীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগ, এখানে যজ্ঞ না দেখলে বড় মিস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল