দর্শনার্থীদের জন্য এখনও রাখা হয় ৫২ ভোগ, যা এই বাড়ির দুর্গোৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তখন আশেপাশে আর কোনও দুর্গোৎসব ছিল না, তাই তিনি নিজের জমিদার বাড়িতেই দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। সেই থেকে এই পুজোর ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। একসময় পুজোর কয়েকটি দিন পুরো জমিদার বাড়ি চত্বরে জমে উঠত উৎসব। গ্রাম-শহরের অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাতেন প্রতিমা দর্শন, হোমযজ্ঞ উপভোগ এবং ভোগ সেবনের জন্য। সেই সময় পুজোর প্রতিটি মুহূর্তে ছিল এক রাজকীয় জৌলুস, যা আজও স্মৃতিতে জীবন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন : মানুষকে নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ শুরু করেছে বৃষ্টি! দ্বিতীয়াতেই অবস্থা খারাপ হাওড়ার! পুজোর পাকা ধানে মই
যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে জমিদারি। আজ আর নেই রাজকীয় জৌলুস, তবুও ঐতিহ্যের আলো এখনও নিভে যায়নি। বর্তমান প্রজন্মের চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা মিলে পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে হোমযজ্ঞ, ভোগের আয়োজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসবই তারা নিজেরাই সামলান। তাদের এই একাত্ম প্রচেষ্টা দুর্গোৎসবকে আজও প্রাণবন্ত রাখে এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
আরও পড়ুন : ‘মারকাটারি ব্যাটিং’, পুজো নষ্ট করার খেলায় মেতেছে বৃষ্টি! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে মঞ্চ জলের তলায়
এই বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল দর্শনার্থীদের জন্য ৫২ ভোগের আয়োজন। ভোগের তালিকায় থাকে ছানাবড়া, পনির, পোলাও, কুমড়ো, পিঠে, পটলের দোরমা এবং আরও নানান ঐতিহ্যবাহী পদ। পুজোর ক’টা দিন দর্শনার্থী ও স্থানীয় মানুষ ভোগের স্বাদ নিতে হাজির হন জমিদার বাড়ির অন্দরে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চারশো বছরের পুরোনো এই দুর্গোৎসব আজ কেবল একটি পরিবারের নয়, বরং সমগ্র এলাকার মানুষের আবেগ, ভক্তি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। সময় বদলেছে, জৌলুস ম্লান হয়েছে, কিন্তু ঐতিহ্য আজও জীবন্ত। এগরার বারানীধি গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুজো তারই এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অঞ্চলের সংস্কৃতিকে আলোকিত করে রেখেছে।