জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের এক পুলিশ কর্মী এবং তাঁর চিকিৎসক ভাই ও চিকিৎসক স্ত্রী। একটি গাড়িতেই তাঁরা ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। বেলপাহাড়ির বিভিন্ন পর্যটনস্থল ঘুরে তাঁরা রাত ১১টা নাগাদ শিমূলপাল অঞ্চলের চিরাকুটির দিক থেকে বুক করা একটি হোমস্টেতে ফিরছিলেন।
advertisement
চিরাকুটিতে একটি খালের উপর কালভার্ট তৈরি হচ্ছে। আর সেজন্য পাশেই একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়েছে। অস্থায়ী কাঁচা রাস্তায় হঠাৎই প্রবল জলস্রোত চলে আসে। গাড়ির চাকা নরম মাটিতে বসে যায়। বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়িটির চালক-সহ চারজন আটকে পড়েন। তীব্র স্রোতে গাড়ি-সহ ওই চারজন ভেসে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন তাঁরা।
ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ছুটে যান সেখানে। খবর দেওয়া হয় বেলপাহাড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা স্রোতের মধ্যে নেমে এক এক করে যাত্রীদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসেন। জলের তোড়ে গাড়িটি ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গাড়িটিকে উদ্ধারের জন্য আর্থ মুভার নিয়ে আসা হয় ঘটনাস্থলে। আর্থ মুভারের সঙ্গে দড়ি বেঁধে সেটির অপর প্রান্ত গাড়ির সঙ্গে লাগান হয়। আর্থ মুভারের মাধ্যমে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। আটকে থাকা পর্যটকদের গাড়ির চালক বলেন’ গ্রামের রাস্তা নতুন কাজ হয়েছে বুঝতে পারিনি। খুব জোর বেঁচে গিয়েছি।’
কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে প্রথমে উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা অমল সোরেন বলেন ‘পুলিশ ও স্থানীয়রা আটকে পড়া গাড়িটিকে নিরাপদে সরায়, চালক ও পর্যটকদের উদ্ধার করে রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছে।’
তন্ময় নন্দী