এই বিষয়ে পীযূষ হালদার নামের এক মাঝি জানিয়েছেন, “এ বছর আর্থিক অবস্থা খারাপ, তা নাহলে আমরা পরিষ্কার করতাম। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এই বিষয়ে নজর দেওয়া হোক।” গতবছর মাঝিরা নিজেদের উদ্যোগেই কচুরি পানা পরিষ্কারের কাজ করেছিলেন। বাঁশ এবং দড়ি দিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে সেটাকে আটকে রেখে, নৌকা চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা করতে হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে প্রশাসনের তরফেও পানা পরিষ্কারের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু এবছর আবারও সেই একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বছরে মাত্র ৩-৪ মাস মেলে, শীতে বাজার খুঁজে আনুন সস্তার এই সবজি, উপকারিতার শেষ নেই
স্থানীয়দের কথায়, কচুরি পানা পরিষ্কার করা দরকার, তাহলে আর কোনও অসুবিধা হবেনা। কিন্তু পানা পরিষ্কার না করলে খাবারের অভাবে এই জায়গা থেকে হয়ত মুখ ফিরিয়ে নেবে পরিযায়ী পাখিরাও। পর্যটকরাও এই জায়গায় এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
পর্যটক সুমন্ত কুমার সাহা জানিয়েছেন, “যেটার জন্য আসা সেটাই যদি না দেখতে পাই তাহলে আর কি হবে। সত্যিই খুবই অসুবিধার বিষয়। প্রশাসনের গুরুত্ব দেওয়া দরকার।” পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, “ইরিগেশন দফতরের তরফে গতবছর কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছিল। এবারেও ইরিগেশন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ মেঝেতে পা দিলেই শরীর কেঁপে ওঠে? শীতে রোজ করুন এই কাজ, হিটার ছাড়াই মেঝে হবে একেবারে গরম
এই জায়গার উপরেই নির্ভর করে থাকেন প্রায় ১০০ জন মাঝি। এই শীতের মরশুমে পর্যটকদের পরিযায়ী পাখি দেখিয়েই তাঁদের রোজগার হয়। রাজ্য তথা ভিন রাজ্য থেকেও পর্যটকরা বর্ধমানের এই জায়গায় ঘুরতে আসেন। কিন্তু বর্তমানে এখানকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এই চুপিতেই আমাজন নামেও এক জায়গা রয়েছে। সকলের কাছে যা বাংলার আমাজন নামে পরিচিত।
পর্যটকদের বেশ পছন্দের ওই জায়গা। কিন্তু সেই আমাজনেরও একই পরিস্থিতি। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আর এই কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও পাল্টাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ছাড়িগঙ্গা কচুরি পানায় ভরে উঠেছে। এখন দেখার বিষয় কতদিনে এই সমস্যার সমাধান হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী