পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই জায়গায় রয়েছে সীতারাম বাবার প্রতিষ্ঠিত গৌরাঙ্গ মন্দির। এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন গৌর নিতাই, রাধাকৃষ্ণ, জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে বরাকর নদী থেকে উদ্ধার হওয়া পুরনো দিনের প্রায় ১২টি কষ্টি পাথরের বিভিন্ন মূর্তি যেমন শিব দুর্গা, দেবরাজ ইন্দ্র, বিষ্ণু, কুবের।
advertisement
ভক্তদের বিশ্বাস এই মন্দিরে পুজো দিলে ভক্তদের মনষ্কামনা পূর্ণ হয়। শুধু এ রাজ্যের নয় ভিন রাজ্য ঝাড়খণ্ড, বিহার-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসানসোলের বারকরের এই মন্দিরে ছুটে আসছেন অনেকেই। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, হরে কৃষ্ণ বাবা বলেন “এই মন্দিরটি সাধু শ্রী শ্রী সীতারাম বাবার প্রতিষ্ঠিত গৌরাঙ্গ মন্দির। এখানে গৌর নিতাই, রাধা কৃষ্ণ, জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা মন্দির রয়েছে।
এখানে প্রত্যেকদিন বিনামূল্যে ভোগের আয়োজন করা হয়। বাইরে থেকে যত ভক্ত আসেন তাঁদের বিনামূল্যে এই ভোগ প্রাসাদ বিতরণ করা হয়। এখানে বস্ত্র দান, অন্ন দান বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি বছরে ন’টি বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। দোল পূর্ণিমা হয় টানা ১৪ দিনব্যাপী। এই দোল পূর্ণিমায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা যেমন কেরল, ওড়িশা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এখানে।
তাহলে এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে এমন জাগ্রত পুণ্যস্থানের মাহাত্ম পেতে কী ভাবে পৌঁছবেন ডেস্টিনেশনে? কী ভাবে আসবেন এই মন্দিরে? এই মন্দিরে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যে কোনও জায়গা থেকে ট্রেনে করে আসানসোল স্টেশন আসতে হবে। আসানসোল স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে সোজা বরাকর রুটের বাস ধরতে হবে।
এরপরে বরাকর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখানে আপনি চাইলেও টোটোতে করে বা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন সীতারাম বাবার প্রতিষ্ঠিত গৌরাঙ্গ মন্দির। এই মন্দিরটি রয়েছে সিদ্ধেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি জায়গায়। এক বা দুই দিনের ছুটিতে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।