মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে মাছের সঙ্গে কচ্ছপ উঠে আসে। যা প্রায়শই মাছ বাজারে চলে আসে।পল্টুবাবু সেই সমস্ত কচ্ছপ উদ্ধার করে উপযুক্ত জলাশয়ে তথা অনুকূল পরিবেশে ছেড়ে দেন। কোজাগরী লক্ষী পুজোতেও তিনি মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি কচ্ছপ এলাকার উপযুক্ত জলাশয়ে ছেড়েছেন। তবে জীবজগতের মঙ্গল কামনায় বিষ্ণুর অবতার হিসাবে ওই কচ্ছ গুলিকে তিনি পুজো করে জলাশয়ে ছাড়েন। তাঁর এহেন বার্তায় বর্তমানে বেশ কয়েকজন যুবকও কচ্ছপের প্রাণ রক্ষার্থে কচ্ছপ উদ্ধার করে জলাশয়ে ছাড়ার কাজ শুরু করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়ির পোষ্য বিড়ালকে নিয়ে এ কী কাণ্ড! মহিলা সমিতির সম্পাদকের বাড়িতে হইহই ব্যাপার, দেখে হতবাক গ্রামের মানুষ
মৎস্য ব্যবসায়ী পল্টু ধীবর এখনও পর্যন্ত একাধিক কচ্ছপ উদ্ধার করে উপযুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে এসেছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও মানব সমাজকে সচেতন করতে তাঁর এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের সদস্য ভোলা ভগত। উল্লেখ্য, কচ্ছপের মাংস সুস্বাদু হওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে একসময় এর ব্যপক চাহিদা ছিল। ফলে কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছিল। তাই কচ্ছপ সংরক্ষণে কচ্ছপ ধরা এবং বিক্রি করা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর চেয়েও বেশি জাঁকজমক! পাঁচ দিন ধরে আলোর বাহারে মেতে ওঠে পুরুলিয়ার এই গ্রাম
কচ্ছপ বিলুপ্ত হয়ে গেলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হবে। বাস্তুতন্ত্রেরেও প্রভাব পড়বে। তাই কচ্ছপ শিকার করা বা বিক্রি করা বেআইনি। এরই মধ্যে একসময় লুকিয়ে-চুরিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলিতে মৎস্যজীবীরা বেআইনি ভাবে বিক্রি করত। এমনকি বেনাচিতি বাজারেও বেশ কিছু বছর আগেও বিক্রি হত এই কচ্ছপ। কচ্ছপ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ও কচ্ছপ হিন্দু ধর্মের দেবতা বিষ্ণু দেবের অবতার হওয়ায় ব্যবসায়ী পল্টু ধীবর এমন উদ্যোগ নেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনও মৎস্যজীবী বাজারে কচ্ছপ বিক্রি করতে এলে পল্টুবাবু তাঁদের কাছ থেকে কচ্ছপ টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করা শুরু করেন ২০২২ সাল থেকে। পাশাপাশি তিনি মৎস্যজীবীদের কচ্ছপ শিকার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সচেতন করেন। ওই সমস্ত কচ্ছপ উদ্ধার করে তিনি দুর্গাপুরের দামোদর নদে ও স্থানীয় জলাশয়ে ছেড়ে দেন। তিনি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে জলাশয়ে ছেড়েছেন।