সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে জানিয়েছেন, ১৯৬২ সাল থেকেএই সমিতির পথ চলা শুরু হয়েছে । ওনারা শুধুমাত্র হাতে বোনা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করেন । পূর্ব পুরুষদের কাছেই এই শাড়ি তৈরি শিখেছেন।জানা গিয়েছে সর্বপ্রথম যখন এই সমিতি চালু হয় তখন সমিতিতে শিল্পী ছিল শুধুমাত্র ৩০ জন । তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় শাড়ি তৈরির কাজ । পরবর্তীতে এখানকার টাঙ্গাইলের কদর বাড়তে থাকে । সমিতিতে শিল্পীর সংখ্যা ৩০থেকে হয় ৩০০। পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি শাড়ি পাড়ি দিতে শুরু করে অন্যান্য রাজ্য সহ বিদেশে। বেশ ভাল ভাবেই চলতে থাকে টাঙ্গাইল তৈরির কাজ । তবে বর্তমানে এই সমিতিতে শিল্পী রয়েছেন ৪০ থেকে ৫০ জন ।
advertisement
আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে ব্যস্ততা! বাংলাতেই রয়েছে বড়ি গ্রাম, জানেন কী ভাবে তৈরি হয়
টাঙ্গাইলের বাজারও এখন খারাপ যাচ্ছে বলে জানান সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে। তবে হঠাৎ কেন টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হল? এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ দে বলেন , পাওয়ারলুম এবং সুরাটের কারণে টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হয়েছে । পাওয়ারলুমে তৈরি শাড়ির মজুরি কম তাই শাড়ির দামও কম । এবং সুরাটের কম দামের শাড়ির সঙ্গে পেরে ওঠা যায়না । হাতে বোনা টাঙ্গাইল এর মজুরি বেশি তাই দামও বেশি । ক্রেতারা কম দামের শাড়ির দিকেই বেশি ঝুঁকছে তাই টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ।
আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই জায়গায়, মনও ভরবে সঙ্গে একান্তে কাটবে কিছু সময়!
তবে বাজার খারাপ হলেও এখনও কিন্তু এই সমিতিতে শুধুমাত্র টাঙ্গাইলই তৈরি হয় । দামে কম এবং আধুনিক ডিজাইনের জন্য অন্যান্য শাড়ির কদর বেড়েছে। তবে টাঙ্গাইল শাড়ি পড়ে যে আরাম সেটা অন্য কোনোও শাড়িতে নেই । বর্তমানে আগের মত বাজার না থাকলেও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এখনও পূর্ব বর্ধমানের আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি টাঙ্গাইল পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী