একাধিক গান পরিবেশন করতে গিয়ে মাঝেই তিনি অসংলগ্ন ভাবে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন এবং নানা কটূক্তি ও অশোভন অঙ্গভঙ্গি করেন। এর পাশাপাশি, নিজের দলের কাউন্সিলরের নাম নিয়ে তোলাবাজির বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে এসে মন্তব্য করতে শোনা যায় বিধায়ককে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন নানা ভিডিও এখন ঘুরছে। মঞ্চে তাঁকে অসংলগ্ন অবস্থাতেই দেখা গিয়েছিল বলে দাবি অশোকনগর বাসীদের অনেকের।
advertisement
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের আজীবন কারাবাস, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা উঠতেই যা বললেন প্রধান বিচারপতি! নজরে ‘২৯’
অতীতে অশোকনগরের বিধায়কদের তালিকায় নলি কর, সাধন সেন, কেশব চন্দ্র ভট্টাচার্য সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসলেও, এমন বিধায়ক অশোকনগর আগে পায়নি বলেও জানাচ্ছেন অশোকনগরের সাধারণ নাগরিকরা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ জোগাতে নানা সময়ে বক্তব্য রাখেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তার দলীয় বিধায়কের মঞ্চে উঠে এমন আচরণের নিন্দা ঝড় শহর জুড়ে। বিরোধী থেকে সাধারণ নাগরিক এমনকি অশোকনগরের মহিলারাও উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও প্রবল ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, ক্যামেরার সামনে কোনও রকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন নারায়ণ গোস্বামী। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। অশোকনগরের নাগরিকরাও বিধায়কের এমন আচরণে যেমন এলাকার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই অশোকনগরবাসী হিসেবে অন্যান্য জায়গায় লজ্জিত হতে হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন অনেকে। বিধায়কের এমন আচরণে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। অশোকনগর উৎসবের পেজ থেকেও ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
—- Rudra Narayan Roy