অনুব্রতকে সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই রাজ্য জুড়ে কোথাও গুড় বাতাসা, কোথাও আবার নকুলদানা বিলি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷ বাদ নেই অনুব্রতর খাসতালুক বীরভূমও৷ কারণ অনুব্রত নিজেই একসময় নির্বাচনের দিন গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিলি করার নিদান দিয়েছিলেন৷ তাঁর এই মন্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ যে অন্য কিছু ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর কীর্তিতে লজ্জিত দল, অনুব্রতর পাশেই তৃণমূল? সৌগতর মন্তব্যে জোর জল্পনা
যদিও অনুব্রতকে উদ্দেশ করে এভাবে ব্যঙ্গ, মশকরা মেনে নিতে নারাজ তাঁর অনুগামী নেতারা৷ এ দিন তাই পাল্টা বিরোধীদের হুমকি দিলেন বীরভূমের ইলামবাজারের তৃণমূল নেতা দুলাল রায়৷ এ দিন ইলামবাজারের পথসভা থেকে তাঁর পাল্টা হুমকি, ইলামবাজারে কেউ গুড়-বাতাসা বিলি করলে তাঁর পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে৷
আরও পড়ুন: 'গুড়-বাতাসা' নয়, খেলেন 'মুড়ি-চিনি'! ঘুম থেকে উঠে 'থম' মেরে বসে রইলেন কেষ্ট
এ দিন রাজ্য জুড়ে ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তৃণমূল। সেই মতো ইলামবাজারেও অনুব্রতর সমর্থনে মিছিল করেন শাসক দলের নেতা-কর্মীর। মিছিল শেষে পথসভা করা হয়৷ সেই পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা দুলাল রায় বলেন, 'নার্ভাস হওয়ার কোন কারণ নেই৷ এই ইলামবাজারে যদি কেউ গুড়-বাতাসা বিলি করে, তাঁর পিঠের চামড়ায় চড়াম-চড়াম করে ঢাক বাজাব৷ কথা দিয়ে রাখছি৷'
শুধু দুলাল রায় নন, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যও এ দিন বিরোধীদের কোমর ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ শুক্রবার বীরভূমের পাঁচ মাথার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি প্রকাশ্যেই, 'কয়েকটা নেংটি ইঁদুর টিভিতে বক্তব্য দিচ্ছে। মনে রাখবেন তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীরা মরে যায়নি। যদি রাস্তা ঘাটে কোনও বিরোধী দলের কেউ অনুব্রত মণ্ডলের নামে অশালীন মন্তব্য করেন কিম্বা অশালীন কথা বলেন, তাহলে তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মীরা পিটিয়ে মাজা ভেঙে দে